নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শনিবার রাতে বড়ভাইয়ের পরকীয়া প্রেমের জেরে মাহিম (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কাজিরবাগ এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। নিহত মাহিম কাজিরবাগ এলাকার পাটকল শ্রমিক মন্নান মিয়ার ছেলে।
নিহতের বোন নাসিমা জানান, প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে তার বড় ভাই কামাল হোসেন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে কামালের সঙ্গে শাহনাজের সম্পর্ক চলাকালীন গোপনে শাহনাজ একই এলাকার সাব্বির হোসেন নামে অপর আরেক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক করে। এ অবস্থায় কামালের সঙ্গে শাহনাজের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত শাহনাজের আরেক প্রেমিক সাব্বির দলবল নিয়ে কামালের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে করে গত ৮ মাস যাবৎ সাব্বিরের ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে কামাল।
এ অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে সাব্বির সংবাদ পায় শাহনাজ কামালের ছোটভাই ও স্থানীয় দেবই কাজীরবাগ দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিমের মাধ্যমে কামালের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিমকে খুঁজে বের করে বেধড়ক পিটুনি দেয় সাব্বির। নিহত শিক্ষার্থীর মা বেবী আক্তার জানান, শনিবার রাতে মাহিমের বসতঘরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। সাব্বিরই তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে পুলিশ রাজমিস্ত্রি হাবিবুর তার স্ত্রী শাহনাজ ও প্রেমিক সাব্বির হোসেনকে আটক করেছে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সোহরাব হোসেন বলেন, প্রাথমিক ধারণায় আত্মহত্যা বলে মনে হলেও যেহেতু হত্যা করার মতো অনেক ঘটনা রয়েছে তাই আমরা সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে আটক করেছি। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এছাড়া আমরা আটকদের কাছ থেকেও তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছি।