× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডাকাত ভেবে সারা রাত পুলিশ আটকে রাখলো গ্রামবাসী

বাংলারজমিন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

মির্জাপুরে ডাকাত ভেবে সারা রাত পুলিশ আটকে রাখলো গ্রামবাসী। রোববার মধ্যরাতে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেরামারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রোববার রাত দুটার পর গেরামারা গ্রামের আলমাস মিয়ার বাড়িতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খোলার জন্য উচ্চবাচ্য করতে থাকে ৬-৭ জন লোক। পরে আলমাসের স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে ডাক-চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের পরিচয় জানতে চায়। সেখানকার একজন নিজেকে মির্জাপুর থানার এসআই পরিচয় দিলেও বাকিরা নিজেদের পুলিশের কেউ নয় ও একজন নিজেকে মির্জাপুর থানার বাবুর্চি পরিচয় দেয়। পুলিশ পরিচয় দেয়া সিভিল ড্রেসে থাকা ব্যক্তিকে গ্রামবাসী তার পুলিশ আইডি কার্ড, ওয়ারেন্ট দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাদের আটক করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হাইওয়েতে টহলরত কয়েকজন পুলিশ।
কিন্তু গ্রামবাসীর তোপের মুখে তারা সরে আসতে বাধ্য হন। অবশেষে গতকাল ভোরে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক নিজে গিয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
আলমাস জানান, তিনি সিঙ্গাপুরে কর্মরত। কয়েক মাস হলো দেশে এসেছেন। থানায় তার নামে কোনো অভিযোগ বা মামলা নেই। কিছুদিন আগে তার শ্বশুর বাড়িতে ডাকাতি হয়। সেই ঘটনা আর এই ঘটনার প্রেক্ষাপট একই রকম। তিনি বিনা অপরাধে মানুষকে হয়রানি করা ও নেশাখোর সোর্স, থানার বাবুর্চি নিয়ে রাতের আঁধারে নির্দিষ্ট অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট ছাড়া মানুষকে হয়রানি করার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর