× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতিরোধ সপ্তাহ উদ্‌যাপন / এক বছরে ৮ হাজার নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ৮ হাজার ৮৬ জন জরায়ুমুখ ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা শনাক্ত করা হয়েছে। এই ক্যানসারে মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২১৪ জন। একইভাবে ২০১৮ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলার সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৭৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৮৪৬ জন। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এক র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে এই তথ্য দেন বিশেষজ্ঞরা। জরায়ুমুখ স্তন ক্যানসার সংক্রান্ত সেবার পরিধি ও মান উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯  থেকে ২৫শে জানুয়ারি “জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ সপ্তাহ” উদ্‌যাপন হচ্ছে দেশে। অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিং-এর প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা জানান, পৃথিবীতে ক্যানসার আক্রান্ত নারীদের একটি বড় অংশ জরায়ুমুখ ক্যানসার ও স্তন ক্যানসারের শিকার। জরায়ুমুখ ক্যানসার এমন একটি মরণব্যাধি যা প্রাথমিকভাবে সাধারণত কোনো দৃশ্যমান পূর্বলক্ষণ প্রকাশ করে না কিন্তু নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এই ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী সব বিবাহিত মহিলার বিনামূল্যে ভায়া ও সিবিই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে “জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই কেন্দ্রীয় কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়নে সফলতার সঙ্গে দেশব্যাপী ৪৩১টি কেন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর  হাসপাতাল, নির্বাচিত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জরায়ুমুখ ক্যানসার ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া র‌্যালিপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে দেশব্যাপী মা ও বোনদের মাঝে স্তন ও জরায়ু ক্যানসার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, এই ক্যানসার নির্ণয় ও প্রতিরোধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। জরায়ু ও স্তন ক্যানসার বড় ধরনের একটি ঘাতকব্যাধি। শুরুতে এই ক্যানসার নির্ণয় করতে পারলে অনেক মা- বোনদের জীবন রক্ষা করা যাবে। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, গাইনোকোলজিক্যাল ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর