ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রেখায় অবস্থানরত ৩১ নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টার মুখে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি ও বিএসএফ। রোববার এবং আগের দিন এ নিয়ে দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলছেন না বিজিবি’র কর্মকর্তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাজিয়াতলী এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২০২৯ পিলারের কাছে ৩১ জন নারী-পুরুষ ও শিশু গত তিনদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে ধানের চারা জমিতে কাদার মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। ধারণা করা হচ্ছে এরা রোহিঙ্গা। শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ওই ৩১ জনের মধ্যে ৬জন নারী, ৮জন পুরুষ এবং ১৭ জন শিশু রয়েছে।
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএসএফ ৩১ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে কাঁটাতারের বেড়া পার করে এনে কাজিয়াতলী সীমান্ত এলাকার ২০২৯/৩/এস পিলারের সামনে জড়ো করে রাখে। ওই জায়গাটি দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখা।
চেয়ারম্যান বলেন অবস্থানকারীদের আকার-আকৃতি দেখে আমরা ধারণা করছি তারা রোহিঙ্গা। তবে তারা যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য বিজিবির সঙ্গে আমরাও সতর্ক রয়েছি। বিজিবি সূত্র বলছে আমাদের হিসাব মতে এরা ভারতীয় নাগরিক। রোহিঙ্গা বা অন্যকিছু কিনা সেটা আমরা এখনো নিশ্চিত নই।