× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিস্থিতির কাছেই নতি স্বীকার দম্পতির

রকমারি


২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

সল্টলেকের শান্তিনগরে দম্পতির রহস্য মৃত্যুতে রীতিমতো সন্ধিহান পুলিশ। সোমবার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় রঞ্জিত দাসের মৃতদেহ। পারিবারিক অশান্তিতে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আসার আগেই শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী মমতা দাসের দেহ। পায়ে আলতা লাগানো অবস্থায় খাটের উপরে পড়ে ছিলেন তিনি।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করেই আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় 'সেন ভিলা' আবাসনের পাঁচতলায়। স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ ফ্লাট থেকে উদ্ধার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।

মৃত ব্যক্তির নাম রঞ্জিত দাস ও তাঁর স্ত্রীর নাম মমতা দাস।
প্রতিবেশীদের দাবি, ওই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই 'সেন ভিলা'-র বাসিন্দা। আপাত শান্ত ওই পরিবারে অবসাদের যাবতীয় কারণ ছিল তাঁদের একমাত্র ছেলে। দম্পতির দুই মেয়েই বিবাহিত। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছিল দম্পতির। মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে চিন্তা আরও বাড়ে বলে জানান প্রতিবেশীরা। তাঁদের অবর্তমানে কে দেখবে ছেলেকে এই চিন্তাতেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত পড়ে ওই দম্পতি।
 
পুলিশ ইতিমধ্যেই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। সুইসাইড নোটে দম্পতি লিখেছেন, "আমাদের ক্ষমা করে দিস, আমরা পারলাম না।" ফ্ল্যাটটি দুই মেয়েকে দেওয়া হল বলে জানানো হয়েছে সুইসাইড নোটে। মর্মান্তিক সমাধান করেছেন একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের। সুইসাইড নোটে, দম্পতি তাঁদের অবর্তমানে ছেলেকে রাস্তায় ছেড়ে দিতে বলে গিয়েছেন। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ দম্পতির মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে।

সূত্র: এবেলা
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর