হঠাৎ আপনার আপনজনের বুকে ব্যথা শুরু হলো। কি করবেন? হাসপাতালে নিয়ে যাবেন না কি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন? বুকে ব্যথা মানেই যে হার্টের সমস্যা তা কিন্তু নয়। এবার জেনে নেয়া যাক কীভাবে বুঝবেন কি কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে?
প্রথমেই রোগীকে জিজ্ঞাসা করুন বুকে ব্যথা কি মাঝখানে না কি বামপাশে। যদি বুকের মাঝখানে হয় তাহলে হার্টের কারণেই এ ব্যথা হবার সম্ভাবনা বেশি। আবার পেটের এসিড খাদ্যনালীতে চলে আসলেও বুকের মাঝ বরাবর জ্বালাপোড়া হতে পারে। হৃদরোগজনিত কারণে বুকে ব্যথা হলে সেটি হবে বুকের মাঝখানে, সম্পূর্ণ বুকে ছড়ানো একটি ব্যথা যা রোগী বুকের উপর হাত ছড়িয়ে দিয়ে নির্দেশ করবে। বুক থেকে এই ব্যথা চোয়াল, ঘাড়, বাম কাঁধ এবং বাম হাতের ভেতরের দিকে অগ্রসর হয়। এই ব্যথা পেছনের দিকেও যেতে পারে।
ব্যথা এমন হবে যেন কেউ বুকের উপর পাথর দিয়ে রেখেছে। কাজকর্ম করলে এই ব্যথা বাড়বে, আবার একটু বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে যাবে। ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্টও থাকতে পারে।
ব্যথার ধরন যদি উপরের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায় তবে এ ব্যথা হার্টের কোনো রোগের কারণেই হচ্ছে। তাই দেরি না করে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং মনে রাখবেন কখনোই হেঁটে নিয়ে যাওয়া যাবে না, বসিয়ে কিংবা শুয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ হেঁটে গেলে তার হার্টের উপর কাজের চাপ আরো বাড়বে এতে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে পারে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর স্ট্রেচার কিংবা হুইলচেয়ারে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।
বুকে ব্যথা অবহেলা করবেন না, যে কোনো সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে হয়তো রোগীর চিকিৎসার জন্য আপনি খুব বেশি সময় হাতে পাবেন না। তাই আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন? কোথায় ভর্তি করাবেন, সেখানে কিভাবে নিয়ে যাবেন। কারণ ওইসময় আপনার মাথা নাও কাজ করতে পারে, তাই আগে থেকেই এগুলো ঠিক করে রাখবেন।
এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে বুঝবেন রোগী হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের দিকে যাচ্ছে- ব্যথা তীব্রতর হবে। এক্ষেত্রে ব্যথা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হবে। রোগী দুশ্চিন্তা করবে এবং মৃত্যু ভয়ের কথা বলবে। বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া। শ্বাসকষ্ট। সাময়িক সংজ্ঞাহীনতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।