× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাকসুর পক্ষে শত শিক্ষকের মন্তব্য

শিক্ষাঙ্গন

জাবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৫:২৩ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (জাকসু) এর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ এর অধিক শিক্ষকের মন্তব্য সংগ্রহ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

৩১ তারিখ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের  কাছ থেকে মন্তব্য সংগ্রহের মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষকদের মন্তব্য সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করেন।
সেদিন সরিজমিনে দেখা যায় নির্বাচনের দিন ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের কাছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা কথা বলেন। শিক্ষক সমিতির যেমন নিয়মিত ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে তেমনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষকদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষকের লিখিত মন্তব্য সংগ্রহ করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সংগৃৃহিত মন্তব্য ঘেটে দেখা যায় সব শিক্ষকই জাকসুর পক্ষে জোরালো সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সালে জাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যপক এ কে এম শাহনেওয়াজ মন্তব্য পাতায় লিখেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি জাকসু নির্বাচন হয় তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হবে।’
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির লিখেন,‘জাকসু নির্বাচন অনেক আগে পূর্বেই হওয়া উচিত ছিল্য। এটি আমাদের সকলের ব্যর্থতা। অতি শিগগিরই হওয়া উচিত।’

বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক মঞ্চের নেতা অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস মন্তব্য করেন,‘নির্বাচিত ছাত্র নেতৃত্ব একটি জবাবদিহিতামূলক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার কাজকে এগিয়ে নিবে মনে করছি।’
সাবেক জাকুস নেতা অধ্যাপক মানস চৌধুরী লিখেন,‘জাকসু চাই,তবে এই ব্যবস্থায় এটা প্রশাসনের স্টান্ডবাহী একটি বডিতে পর্যবসিত হতে বাধ্য।’

সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান লিখেন,‘ ভবিষ্যত নেতৃত্ব বিনির্মানের জন্য জাকসু সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া জরুরী।’
বামপন্থি শিক্ষক পারভিন জলী মন্তব্য লিখেন,‘ সকল দলের সমন্বয়ে গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ জাকসু নির্বাচন আমাদের সকলের দাবী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মোঃ জুলকারনাইন। তিনি মন্তব্য করেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তাই অতি দ্রুত জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হউক।’

সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা মন্তব্য করেন,‘ছাত্র রাজনীতি বিকাশের জন্য জাকসু প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ-উল হাসান লিখেন,‘সকল ছাত্র সংগঠনের সাথে কথা বলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হলে এবং সকল সংগঠনের সহাবস্থান তৈরী করতে পারলে জাকসু নির্বাচন দেয়া উচিত।
এর মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, সকল শিক্ষার্থীর সহ-অবস্থান নিশ্চিত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রাথী হিসেবে সমর্থন ও নির্বাচিত করে জাকসু নির্বাচন সম্ভব না তা অর্থহীন হবে
আরেকজন বিএনপিপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার লিখেন,‘আমার ছাত্র জীবনে আমি প্রতিবছরই ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।এরপর আমার শিক্ষক জীবনে এসে তা বন্ধ হতে দেখে লজ্জ্বিত হই। কোন অজুহাতে এই নির্বাচন বন্ধ করা কাম্য নয়।’
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা লিখেন,‘সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে জাকসু চাই।’
অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান মন্তব্য করেন, ‘জাকসু নির্বাচন দিয়ে ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি। সদ্য শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেশন বিভাগে। তিনি মন্তব্য করেন,‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি ভবিষ্যত জাতীয় রাজনীতিতে  ভূমিকা রাখবে।’

ছাত্র ইউনিয়নের মন্তব্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে জাকসুর পক্ষে আরও মন্তব্য করেন অধ্যাপক হিমেল বরকত, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা,অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল হাসান টিুট,অধ্যাপক সোহেল আহমেদ,অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক,অধ্যাপক স্বাধীন সেন,অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ অধ্যাক নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন,আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষকদের মন্তব্য সংগ্রহ করছি। এটা চলমান। আমরা এই পর্যন্ত ১০০ এর অধিক শিক্ষকের মন্তব্য সংগ্রহ করেছি। সবাই জাকসু নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে সহাবস্থান নিশ্চিতের উপর জোর দিয়েছেন শিক্ষকরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর