× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১০ বছর ধরে সিবিএ নেতার কাছে সরকারি গাড়ি!

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, সোমবার, ৬:৪০ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি আলাউদ্দিন মিয়া। দুই বছর আগে অবসর নিয়েছেন। সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদকও তিনি। তবে গত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন পাজেরো গাড়ি। যা সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ পান। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক অভিযানে গাড়িটি এরই মধ্যে চালকসহ জব্দ করা হয়েছে। দুদকের অভিযোগ কেন্দ্র(১০৬) আসা তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম আজ সোমবার মতিঝিল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে। সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।

পরে বিকালে এক বিফ্রিংয়ে মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, আলাউদ্দিন মিয়া ২০১৭ সালের আগস্টে অবসরে যান। তিনি তখন পিডিবির নকশা ও পরিদর্শন পরিদপ্তরের স্টেনো টাইপিস্ট পদে ছিলেন। গত আগস্টে তার অবসরোত্তর ছুটির সময়সীমাও শেষ হয়েছে। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ি উদ্ধারের সময় এর চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। চালকের বক্তব্য রেকর্ড করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মুনীর চৌধুরী বলেন, গাড়িটি পিডিবির নামে বরাদ্দ থাকলেও ওই কর্মচারী কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। তারপরও তিনি ২০১৭ সালে অবসরে গেছেন।

আলাউদ্দীন ২০০৯ সাল থেকে গাড়িটি ব্যবহার করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়িটির পেছনে প্রতি মাসে ৪৫০ লিটার তেল ব্যবহার হয়েছে; নয় বছরে তেল বাবদ ৩৫ লাখ টাকার বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে ৩৭ লাখ টাকা গাড়ির চালকের বেতন বাবদ ব্যয় হয়েছে। দুদকের আওতাভুক্ত এটি একটি ‘বড় অপরাধ’ হিসেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীর নামে গাড়িটি কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো, এর সাথে পিডিবি বা অন্য কোনো অফিসের যারা জড়িত তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। তখন সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় মামলার করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে উল্লেখ করে মুনীর চৌধুরী বলেন, আমরা অনুসন্ধান করবো, ওই কর্মচারীর সম্পদও খতিয়ে দেখা হবে। অনুসন্ধানের জন্য গাড়িটি দুদকে আনা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুনীর চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেলে সরকারে পরিবহনপুলের এরূপ অপব্যবহার হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর