× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একাই ১০০ জয় করলেন বিশ্বনাগরিক আসমা

রকমারি


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

বাধা বিপত্তি আর নানা প্রতিকুলাতা অতিক্রম করে একাই ১০০ দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন খুলনার মেয়ে আসমা। ১২ বছর আগে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে থাইল্যান্ড দিয়ে সফর শুরু করেন কাজী আসমা আজমেরী। পর্যায়ক্রমে ভারত, নেপাল। তত দিনে বিশ্বদর্শনের ভূত ঘাড়ে চেপে বসেছে।

এই পথে পা বাড়াতে গিয়ে বাড়ি থেকে বাঁধা এসেছে, মেয়ে হওয়ায় প্রতিবেশীদের সমালোচনা শুনতে হয়েছে। তবে সমালোচনাকে আশীর্বাদ হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন এই তরুণী। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাননি।

দুনিয়ার পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র বিচরণ করেছেন আসমা। অস্ট্রেলিয়ার একটা বড় অংশ ঘুরেছেন সম্পূর্ণ নিজের মতো করে।
ব্রাজিলে বিশ্বকাপের ভিড়ে। হন্ডুরাসের ইউটিলার সৈকতে ক্যারিবীয় সাগরে পা ভিজিয়ে ভেবেছেন, দুনিয়ার সব সৈকত কেন এত সুন্দর হয় না! লরিতে দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা পাড়ি দিয়ে তার পর ১২ মাইল ধুলো ওড়ানো পথ হেঁটে পৌঁছে যান বলিভিয়ার ভালেগ্রান্দেতে। প্রত্যন্ত এই গ্রামের স্কুলে গুলি করে মারা হয়েছিল চে গেভারাকে।

ফিজি, অস্ট্রেলিয়া হয়ে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে বড় সুন্দর লেগেছিল দেশটিকে। কাজও জুটে গেল সেখানকার রেড ক্রসে। এখন বছর দেড়েক টানা কাজ করেন সেখানে আর অস্ট্রেলিয়ার পারথে। তার পরে ৪ মাস বেড়ানো, এক মাস বাংলাদেশে গিয়ে বাবা-মা আর ভাইয়ের সঙ্গে থাকা। ইউরোপীয় পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ এসেছিল, নেননি। বাংলাদেশের পাসপোর্টই রেখেছেন, সেই পাসপোর্টেই দেশ-বিদেশ ঘুরছেন। বিপাকেও পড়তে হয়েছে। ভিয়েতনামে ঢোকার পরে ফিরতি বিমান টিকিট দেখতে চাওয়া হয়। অথচ কথা ছিল সড়ক পথে কাম্বোডিয়া যাবেন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট বলেই যে অভিবাসন কর্তারা কানে কথা তুলছেন না, তা তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন।

তুরস্ক থেকে টুরিস্ট বোটে সাইপ্রাস যাওয়ার পরেও আসমাকেই বেছে আলাদা করা হল। তিনি যে থেকে যাবেন না, নিশ্চয়তা কী? সে বারও ডিপোর্ট করার আগে ২৭ ঘণ্টার জেল। তবু বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়েননি আসমা।

সব চেয়ে সুন্দর দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে এক মুহূর্ত না-ভেবে আসমার জবাব, মন্টেনেগ্রো। কী অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতি!

সূত্র: আনন্দবাজার
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর