সরিষাবাড়ীতে বার্ড ফ্লু আতঙ্কে ৬০০ লেয়ার ও বয়লার মুরগি খামারি ও ডিলাররা আতঙ্কে রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পৌরসভার ঝালু পাড়া, ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া, ডিগ্রিবন্দ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মুরগি খামারি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অফিস ও মুরগি খামারি সূত্রে জানা গেছে সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৬০০ লেয়ার ও বয়লার মুরগি খামারে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মুরগি রয়েছে। এ খামারগুলোয় গত শুক্রবার থেকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনারপাড়া গ্রামের মোস্তফা, মোতালেব, হোসেন, ডিক্রিবন্দ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, রাঙ্গা মিয়া, আব্দুস সালাম, মাজালিয়া গ্রামের ডা. শফিকুল ইসলাম, ভোলা মিয়া, সুরুজ্জামান বিদেশি, মোজাম্মেল হক ভুট্টো, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, জুয়েল মিয়া ও কালু মিয়ার মুরগি ফার্মে বার্ড ফ্লু নামে রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছু মুরগি মারা যায়। ওই সব মারা যাওয়া মুরগি বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত সন্দেহে মুরগির খামারিরা তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে মুরগিগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন বলে কোনো কোনো খামার মালিক জানান। এ ছাড়াও উপজেলার ডোয়াইল, আওনা, পিংনা, পোগলদিঘা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ সাতপোয়া ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন স্থানে বার্ড ফ্লু আতঙ্কে খামারিরা হতাশায় ভুগছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে দেশি মুরগি খামারি মালিক উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করবাড়ী গ্রামের আব্দুল হক (৬০) জানান, আমার দেশীয় মুরগির খামারে ৫০০ মুরগির মধ্যে ৫০টি মুরগি শনিবার রাতে মারা গেছে।
তাই বার্ড ফ্লু হয়েছে কি না তা জানতে আইছি। জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রৌশনী আকতার বলেন, উপজেলায় প্রায় ছয় শতাধিক লেয়ার ও বয়লার মুরগি খামার রয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ কিছু মুরগি মারা যাওয়ায় খামারিদের ডিম উৎপাদন কম ও খাদ্য-খরচ বেড়ে গেছে। তবে মারা যাওয়া মুরগিগুলো বার্ড ফ্লু বা রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কি না, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।