× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বা স্থ্য ক থা /আগুনে দগ্ধ হলে যা করবেন?

ষোলো আনা

ডা. মো. সাব্বির আহমেদ
১ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

আগুন, গরম পানি, গরম তেল, বিদ্যুৎ, রাসায়নিক পদার্থ, এসিড, ক্ষার, বোমা বিস্ফোরণ, বিকিরণ ইত্যাদি নানা কারণে পোড়াজনিত আঘাত বা বার্ন ইনজুরি হতে পারে। আমাদের দেশে গরম পানি এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া- এ দুটোর পরিমাণ বেশি। শীতকাল এলে এর  প্রকোপটা বেড়ে যায়। এ ছাড়াও রয়েছে ইলেকট্রিক বার্ন (ইলেক্ট্রিক শকের কারণে হয়) এবং  কেমিক্যাল বার্ন (এসিড, ক্ষার দিয়ে হয়)।

প্রাথমিক চিকিৎসা
আগুনে পোড়া রোগীকে প্রথমেই আগুনের কাছ থেকে সরিয়ে আনুন। এবার শরীরের কাপড় এবং গয়না খুলে ফেলুন। তারপর দ্রুত টিউবওয়েল কিংবা পানির ট্যাপের নিচে ৩০মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আক্রান্ত স্থানে পানি দিন। আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার কাপড় বা গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে একটু উঁচুতে রাখুন। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্ঞান থাকলে পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে শরবত, স্যালাইন বা ডাবের পানি এমনকি সাধারণ পানিও পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে দিন।
এভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।

আগুনে পোড়া জায়গায় ডিম/পেস্ট লাগানো কি ঠিক?
আগুনে পুড়ে গেলে অনেকেই ডিম ভেঙে দেয়, কেউ পেস্ট লাগায়। আসলে এগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই। এসব জিনিস দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ে। তাই এগুলো না দেয়াই উত্তম। যেহেতু ডিমে প্রোটিন আছে, তাই ডিম ভেঙে উপরে না দিয়ে বরং খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

এ ছাড়াও মনে রাখবেন চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম বা ক্রিম লাগানো ঠিক না। ফোসকা হলে তা ফুটো করবেন না। পোড়া স্থানে বরফ, তুলা, ডিম, পেস্ট ইত্যাদি লাগাবেন না। পোড়া জায়গায় যেন আঘাত বা ঘষা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর