× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুকে ভাইরাল খোকনের সেই আলোচিত উদ্যোগ

ষোলো আনা

আবিদুল হক সোহেল
১ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

মা-বাবাকে সঙ্গে করে জহিরুল ইসলাম খোকনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকলে ৫শ’ টাকা ছাড়। আর এই ছাড় আজীবন বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি। সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের ভালোবাসা পৃথিবীর সব ভালোবাসাকে হার মানায়। সময়ের পরিক্রমায় সন্তান বড় হয়ে যায়। পর করে দেয় বাবা-মাকে। বৃদ্ধ বয়সে শেষ আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রম। যখন সমাজে এই অবস্থা দেখতে হচ্ছে ঠিক তখনই এক অভাবনীয় উদ্যোগের আত্ম-প্রকাশ করেছেন খোকন।

খোকন বর্তমানে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পশ্চিম মাটিকাটার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী এবং এক সন্তানসহ একসঙ্গে বসবাস করেন।
পেশায় তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের টিভিএস কোম্পানির মোটরবাইকের ডিলার এবং একই সঙ্গে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করেন। খোকনের বাবা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এবং মা ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। খোকনকে বাবা-মা ছেড়ে আলাদা থাকতে হয়েছিল। সেই সুবাদে তিনি অনুভব করেন বাবা-মা ছেড়ে থাকাটা কতোটা কষ্টের। তিনি বলেন, বাবা-মা ছাড়া পৃথিবী আমার কাছে একদম নিঃস্ব।  কোনো কিছু ভালো লাগতো না।  পরবর্তীতে তিনি যখন ঢাকায় স্থায়ী হয়ে গেলেন তখন তিনি তার বাবা-মাকে কাছে নিয়ে এলেন।
এই অনুভব থেকেই তিনি মনে করেন, যেই বাবা-মা জন্ম থেকে লালন-পালন করে সন্তানদের বড় করেছে সেই বাবা-মাদের যেন সন্তানরা বৃদ্ধ বয়সে আর দূরে সরিয়ে না দেয়। তিনি মনে করেন অনেক মানুষই হয়তো আমার মতোই বাবা-মাকে ভালোবাসে, কেউ হয়তো প্রকাশ করতে পারে। আবার কেউ হয়তো পারে না। পরিবারে নানা সমস্যাই থাকতে পারে সব কিছু একই সঙ্গে সামাল দিয়ে পরিবারে বসবাস করতে হয়। কিন্তু তাই বলে বাবা-মার শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম হতে পারে না কখনই। তিনি তার বাড়ির ফলকে এই নোটিশের মাধ্যমে বৃদ্ধাশ্রমের বিপক্ষে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

তার ইচ্ছা যেসব বাবা-মার থাকার কোনো জায়গা নেই। ভবিষ্যতে তাদের জন্য থাকা, খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। তিনি তরুণ সমাজের কাছে আবদার করেন আর কোনো বাবা-মার যেন সন্তানের ঘর ছাড়া বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে না হয়। গড়ে উঠুক একক পরিবার থেকে যৌথ পরিবার। ফিরে আসুক একান্নবর্তী পরিবারের সেই ঐতিহ্য।

 তার বাড়িতে বর্তমানে ১৭টি পারিবার থাকার সুবিধা আছে। এরমধ্যে ৪টি পরিবার এই ৫শ’ টাকা ছাড়ের সুবিধা পাচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর