× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চেয়ারে না বসলেও নুরই ভিপি

ষোলো আনা

শামীমুল হক
১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

নানা প্রশ্ন। নুর কি শপথ নেবেন? শপথ না নিলে কি হবে? ভিপি পদে কি ফের নির্বাচন হবে? উত্তর একটাই এ সবের কিছুই লাগবে না। নুরুল হক নুরই ডাকসুর ভিপি। ডাকসুতে শপথ বলে কিছু নেই। ঘোষিত ফলই সব। নুর ভিপির চেয়ারে কখনো না বসলেও তিনি ভিপি। এটাই শেষ কথা। প্রশ্ন-শপথ নিয়ে নয়, নুর কি ভিপির চেয়ারে বসবেন? ইতিমধ্যে নুর অবশ্য বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
নির্বাচনের পর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ও রোকেয়া হলের সামনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি যে নির্বাচন হয়েছে তাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যাবে না। আগের রাতেই ব্যালটে ক্রস দিয়ে রাখা হয়েছে। কুয়েত মৈত্রী হল থেকে এমন এক বস্তা ব্যালট পেপারও ছাত্রীরা উদ্ধার করেছে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে ১১ই মার্চ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনের দিন ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। রাত ৩টার পর ফলাফল ঘোষণা করা হলে ছাত্রলীগও এ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি তুলে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথা ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনকে অনিয়ম করে পরাজিত করা হয়েছে। পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রলীগ ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে। তার মানে নির্বাচনে অংশ নেয়া সব প্যানেলই নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি তুলেছে। যদিও ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন দলীয় নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে কিংবা ধমক দিয়ে নিবৃত করে। একপর্যায়ে নবনির্বাচিত ভিপি নুরের কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। দেশজুড়ে এখন নির্বাচন নিয়ে অনীহা ভোটারদের মধ্যে। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচন সবক্ষেত্রেই ফুটে উঠছে এমন চিত্র। এরমধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে এমনটাই আশা করেছিল শিক্ষার্থীরা। যদিও আগ থেকেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের মধ্যে শঙ্কাও ছিল। ভোটের দিন সকালে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর কথা বলে কেন তা রাতেই পাঠালো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? এর কোনো সদুত্তর পায়নি দেশবাসী। সদুত্তর পায়নি নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরাও। দীর্ঘ ২৮ বছর পর হয়ে যাওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রী হলগুলোর চারটিতে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২৫ সদস্যের ডাকসুর ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। এখানে জয় পরাজয় মুখ্য নয়। মুখ্য হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর এই সুষ্ঠু নির্বাচনে যে প্রার্থীই জয়ী হোক তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু কেন জানি আগে থেকেই কেউ কেউ হেরে যাবার ভয়ে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়। এখানেই ঘটে সমস্যা। নির্বাচন হয় কলঙ্কিত। কিন্তু নির্বাচন যত কলঙ্কিতই হোক একবার ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেলেই হলো। কেউ মানুক আর না মানুক ঘোষিত ফল অনুযায়ী জয়ীরাই আসনে বসবে। এটাই নিয়ম। আর এ নিয়মেই বন্দি ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি মানুক আর না মানুক এটাই বাস্তবতা।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর