× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খরা কাটছে না সংগীতাঙ্গনের

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগতভাবে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এই সময়ে গানের সংখ্যা ও মান কেবল নিচের দিকে নেমেছে। সিডি মাধ্যম বিলুপ্তির পর ডিজিটালি গান প্রকাশ শুরু হয়েছে প্রায় দু-আড়াই বছর হলো। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে সংগীতাঙ্গন ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশ করে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। কোনো আশার আলো নেই। খরা একেবারেই কাটছে না সংগীতাঙ্গনের। গত পুরো বছরটি খরার মধ্যে দিয়ে কেটেছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত সেই ধারাই অব্যাহত আছে। হাতেগোনা কয়েকজন শিল্পীর গানের আওয়াজ মিললেও সার্বিক সংগীতাঙ্গনের অবস্থা তথৈবচ। ব্যবসায়িক মন্দার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। ওয়েলকাম টিউনসহ বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে আয় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শুধু ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে এখন আর গান প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলেও মত দিয়েছেন তারা। এমন অবস্থায় পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। নতুন কিছু প্রতিষ্ঠান হাতেগোনা কিছু শিল্পীর গান প্রকাশ করছে। তবে এরইমধ্যে অনেক নতুন প্রতিষ্ঠানও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় মূলধারার অনেক শিল্পী গানের পাশাপাশি ব্যবসা কিংবা অন্য কাজে ঝুঁকছেন। কারণ মূলধারার শিল্পীরা আর অডিওর ওপর নির্ভর থাকতে পারছেন না। গানের সংখ্যা কমে আসায় শুধু গান দিয়ে টিকে থাটাটা দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও অনেকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো দফায় দফায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসেও গান থেকে আয়ের বিষয়ে সুরাহা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন কেউ কেউ। ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থা প্রসঙ্গে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, সত্যি বলতে এখন টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ শুধু ইউটিউবের আয় দিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে আয় একেবারে কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে অফিস পরিচালনা করাই কষ্টকর। তাই গানের সংখ্যাও স্বাভাবিকভাবে কমছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেও কিন্তু গান প্রকাশ হয়েছে খুব কম। সামনেই পহেলা বৈশাখ। আমাদের নিজেদেরই ভাবতে খারাপ লাগে যে একটা সময় এ দিবসকে ঘিরে বিভিন্ন শিল্পীর অ্যালবামের আয়োজন থাকতো। কিন্তু এখন আর তেমন আয়োজনই চোখে পড়ছে না। তবে আমরা আশা ছেড়ে দিইনি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে সেলফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে। সেসব বিষয়ে সুরাহা হলেই আমরা আবার গানে স্বাভাবিক বিনিয়োগ করতে পারবো। এ বিষয়ে এমআইবির সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভির কর্ণধার শেখ সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, এখন অবস্থাটা একটু খারাপ যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ, এর সঙ্গে সংগীতাঙ্গনের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও প্রযোজকরা জড়িত। সবার স্বার্থেই আমরা নিয়মিত আলোচনায় বসছি। আমরা আশাবাদী খুব শিগগির হয়তো এ স্থবির অবস্থা থেকে বের হতে পারবো। এ বিষয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, সংগীতাঙ্গনে উত্থান পতন সব সময়ই ছিল। তবে এখন যে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে এটা দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। ব্যবসায়িক মন্দা তো আছেই। তবে ভালো গানের অভাবও এর একটা কারণ বলে আমি মনে করি। তাছাড়া আমার সার্বিক সিস্টেমেও গলদ রয়েছে। তবে আমি আশা করবো শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে হয়ে এ সমস্যার সমাধানে কাজ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর