× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমাতুল্লাহ

বিনোদন

অনলাইন ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

যার অসংখ্য গান কালজয়ী হয়ে এখনো মানুষের মুখে মুখে সেই কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে গেলো। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় বারিধারায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় শাহনাজ রহমতউল্লাহ মারা যান অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ। তবে মারা যাওয়ার সাত-আট বছর আগেই গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই গান থেকে তাঁর দূরে সরে যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল।

তাঁর গাওয়া গানের ভাষায় - 'যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, সে হারালো কোথায়, কোন দূর অজানায়?' ২০১৫ সালে বিবিসি বাংলার গান-গল্প অনুষ্ঠানে অর্চি অতন্দ্রিলার সাথে আলাপকালে বলছিলেন সেসব কথা। কারণ হিসেবে তিনি 'ব্যক্তিগত চয়েজ (পছন্দ)'- এর কথা উল্লেখ করেন। তাঁর সংসার জীবনের গল্প তুলে ধরে তিনি বলেন,আমি সংসারকে ভীষণ ভালোবাসি। আমার ৪২ বছরের ঘর।বিয়ের পরে হাউজ ওয়াইফ হিসেবে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছি।

পরবর্তীতে তিনি ওমরাহ করতে গিয়ে ধর্মপরায়ণ জীবনযাপনে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
তিনি বলেন, ওমরাহতে গিয়েই আমি চেঞ্জ হয়ে গেছি। আসার পর মনে হয়েছে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো, শুধু মনে হয়েছে আমি রোজা রাখবো, শুধু মনে হয়েছে আমি কুরআন শরীফ পড়বো। ৫০ বছর পার হয়ে গেছে, ইমেজটা সুন্দর থাকতে থাকতেই আমি ছাড়তে চেয়েছিলাম যাতে পাবলিক মনে করে যে আর কয়টা গান উনি কেন গাইলেন না। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই যে শিল্পীর সঙ্গীত জীবন শুরু হয়েছিল, এতদিন পরে এসে তার জন্য বিষয়টা কিভাবে দেখেছিলেন?
তিনি তাঁর যুক্তিতে অবিচল ছিলেন। বলছিলেন, এটা আমি মনে করি খুব ভালো হয়েছে। এটা আমার নিজস্ব চয়েজ। তবু কি মিস করতেন তিনি গানকে? তিনি জানিয়েছিলেন, মিস করি মাঝে মাঝে। বাসায় একটু গুনগুন করি। হাজব্যান্ডকে গান শুনাই। সে আবার অনেক বড় ভক্ত আমার। এখন তো সময় পারই হয়ে গেছে। এখন কোন অসুবিধা হয় না।
সূত্র- বিবিসি
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর