ভারতে ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন দুই শতাধিক লেখক-শিল্পী। এ ছাড়াও প্রধানত দক্ষিণ ভারতের শতাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতাও গেরুয়া শিবিরকে ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরলে বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সেন্সরের আশঙ্কা রয়েছে। আনন্দ নপাটবর্ধন, সনলকুমার শশীধরন, সুধেভন, কিউ, দীপক ধনরাজের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতারা আবেদন জানালেও বলিউড বা টলিউডের কেউ এই আবেদনে যুক্ত হন নি। দেশটির নানা প্রান্তের লেখক, শিল্পী ও নাট্যব্যক্তিত্ব এক আবেদনে বলেছেন, ঘৃণার রাজনীতি আর নয়। দেশের ঐক্যের দিকে লক্ষ্য রেখে ভোট হোক। রাজনীতিবিদদের কাছেও তারা আরজি জানিয়েছেন। গিরিশ কারনাড, অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ, নয়নতারা সেহগল, টিএম কৃষ্ণা, বিবেক শানবাগ, জিত থাইল, রোমিলা থাপারের মতো লেখকরা এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। সোমবার স্বাক্ষরিত এই আবেদনটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, উর্দু, গুজরাটি ও কান্নাড়া ভাষার বেশির ভাগ সাহিত্যিক সই করেছেন আবেদনে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার আবেদন জানানোর পাশাপাশি বলা হয়েছে, সবার জন্য সমান অধিকার ও নিজের পছন্দের জীবনাচারণের যে অধিকারের কথা সংবিধানে বলা রয়েছে তাকে যেন মান্যতা দেয়া হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তারা। গত কয়েক বছরে দেশে ঘৃণা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে, তার জীবনযাপনের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। তাদের মতে, ভারতের মতো বহুমাত্রিক দেশে যেখানে বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্যের বাস, সেখানে এই ধরনের মানসিকতার উদয় হওয়া উদ্বেগের বিষয়। লেখক ও শিল্পীমহলের ওপর নেমে আসা অযাচিত শাস্তি ও রোষ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের এই সব প্রখ্যাত লেখকরা। তারা বলেছেন, গণতন্ত্রের আক্ষরিক অর্থে উন্মেষ ঘটুক। সেই মতোই মানুষ ভোট দিক।