× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিজেপির ইশতেহারে ফের রামমন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ৮, ২০১৯, সোমবার, ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে দিয়েছে সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে ইশতেহার প্রকাশ করেছে। নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ সহ দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। বিজেপি এটির নাম দিয়েছে সঙ্কল্পপত্র। ‘ফির এক বার, মোদি সরকার’ স্লোগানকেই ইশতেহারে তুলে ধরা হয়েছে। 

উন্নয়ন ও দেশের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। তবে ফের অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করা হবে রাম মন্দির। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই ধারা বলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছে।
একই সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হযেছে। অনুপ্রবেশ রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জী সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করানো এবং তা কার্যকরী করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই সঙ্কল্পপত্র আসলে এটা দেশের সুরক্ষা পত্র, এটা সম্মান পত্র, দেশের উন্নয়ন পত্র। ইশতেহার প্রকাশ করে মোদী বলেছেন, জাতীয়তাবাদই আমাদের প্রেরণা। দেশের সুরক্ষা ও উন্নয়নই আমাদের মূল মন্ত্র। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমরা ৭৫টি বিষয়ে অঙ্গীকার করেছি। সেগুলি ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হবে। মোদী আরও ঘোষণা করেছেন, এই সঙ্কল্পপত্রের উদ্দেশ্য হল ২০৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার একশ বছরে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। মোদী এদিন ৪৫ পৃষ্ঠার ইশতেহার প্রকাশ করে দেশের মানুষকে উন্নয়ন এবং সুশাসনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন,  আমরা আলাদা পানি শক্তি মন্ত্রক তৈরি করব। সবাই যাতে পানি পায়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, আমরা ইতিমধ্যে বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা মন্ত্রক করার কথা বলেছি। বিজেপির ইশতেহারে কৃষকদের সমস্যা সমাধান, নারী সংরক্ষণ, গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন, কর কাঠামোর পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে ভারতকে। ২০২৫-এর মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০৩২-এর মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা হবে ভারতকে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ইশতেহার প্রকাশ করে বলেছেন, ৬ কোটি মানুষের মনের কথা দিয়েই তৈরি হয়েছে সঙ্কল্পপত্র। পাঁচ বছরের মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান ধুলে ধরে তিনি বলেছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ দেশের জন্য সোনালি সময়। এই পাঁচ বছরে আমরা ৫০টা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর হবে আশা ও আকাঙ্খা রুপায়ণের সরকার। অমিত শাহ এদিন বলেছেন, দেশের সুরক্ষার জন্য মোদী সরকার সবরকম কাজ করেছে। দেশের জনগণ মোদী সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন। ইউপিএ জমানায় যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা মুক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে ভারত মহাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে।

ক্ষমতায় ফিরে এলে বিজেপি যে সব প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ করবে, সেগুলির অন্যতম হল, ২০১৪-এর মধ্যে প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ গঠন, প্রত্যেক মানুষের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ব্যাংকিং পরিষেবার ব্যবস্থা, প্রত্যেকের জন্য শৌচাগার ও পানীয় পানির ব্যবস্থা, ২০২৪-এর মধ্যে রেলে সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়ণ, ৬০,০০০ কিলোমিটার হাইওয়ে নির্মাণ ও ২০২৪-এর মধ্যে ২০০টি নতুন এয়ারপোর্ট তৈরি। কৃষকদের জন্য ঋণে কোনও সুদ লাগবে না বলেও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচ বছরে কৃষিক্ষেত্রে খরচ করা হবে ২৫ লক্ষ কোটি রুপি।

এদিনের ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বক্তব্য রেখেছেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর