× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে বহু বুথে পুন:নির্বাচনের দাবি

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ১২, ২০১৯, শুক্রবার, ৫:২১ পূর্বাহ্ন

ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দুটি আসনে বৃহষ্পতিবার প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হয়েছে। বিরোধী শক্তি হিসেবে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পরে এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। আলিপুর দুয়ারে ভোট অপেক্ষাকৃত শান্ত পরিবেশে হলেও কোচবিহারে  সারাদিনে বিভিন্ন জায়গায় বারবার দলীয় সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বেশ কয়েকটি বুথে বিরোধী দলের এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে কোচবিহারের ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর গাড়িও। তবে এসব সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই দুই কেন্দ্রে  ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই দুটি কেন্দ্রে। ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি হারে। তবে এদিন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারের প্রায় সাড়ে আটশ বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিকেল থেকেই জেলা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান করছিলেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল এমন সব বুথে পুননির্বাচনের দাবি করছি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, অন্তত ৮০টি ইভিএমে বিভ্রাট ঘটেছে। যে সব জায়গায় ইভিএম বিভ্রাট ঘটেছে সেই সব বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি।  মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, এত বেশি সংখ্যক ইভিএম খারাপ হল কীভাবে। তিনি এর পেছনে চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয়তায় রুষ্ট হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অনুপস্থিতির অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বলেছেন বৃহষ্পতিবার যা ইঙ্গিত পেলাম, তাতে মনে হল, ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তিনি আরও  বলেছেন, স্পর্শকাতর ও স্পর্শকাতর নয়, এমন বুথ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি রয়েছে। ভোট লুঠ করার চেষ্টা হয়েছে। শক্ত হাতে ভোট লুঠেরাদের মোকাবিলা করা উচিত কমিশনের। তিনিও যে সব বুথে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে পারেনি, সেখানে পুননির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। এদিন কোচবিহারের দিনহাটা, শীতলকুচি থেকে ছাপ্পা ভোট, রিগিং ও বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনহাটাতেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। পরে রাতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন মক পোল চলার সময়ে ৫১টি ভিভিপ্যাটে এবং ভোট চলাকালীন ৬৫টি ভিভিপ্যাটে ত্রুটি ধরা পড়েছে। আর ব্যালটে ত্রুটি ধরা  পড়েছে ০.০২ শতাংশ ইউনিটে। এদিকে জানা গেছে, ভোটের পরও রাতে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর