ফেনীর দাগনভূঞায় কাওমি মাদ্রাসায় ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শহিদুর রহমান নামে (৫৩) এক শিক্ষককের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার রিমান্ড শুনানি হয়। এ সময় আদালতের বিচারক এসএম এমরান তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে সোমবার রাতে শিক্ষক শহিদুর রহমানকে রাজাপুর ইউনিয়নের কোরেশমুন্সি এলাকার ‘কোরেশমুন্সী দারুল কোরআন ওয়াস ছুন্নাহ্ প্রাইভেট মাদ্রাসা’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিক্ষকের বাড়ি নোয়াখালীর জেলার সেনবাগ উপজেলার উত্তর জয়নগর গ্রামে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালেহ্ আহম্মদ পাঠান জানান, রোববার রাতে কোরেশমুন্সি বাজার সংলগ্ন যাদবপুর গ্রামের ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শহিদুর রহমান কাছে বলাৎকারের শিকার হন মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ৮ বছর বয়সী এক আবাসিক ছাত্র। শিশুটি ওই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
সোমবার বিকালে শিশুটি তার বাড়িতে ঘটনাটি জানালে শিশুর পরিবার দাগনভূইয়া থানায় অভিযোগ করে। খবর পেয়ে সোমবার রাতে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক শহিদুর রহমানকে আটক করে কোরশমন্সি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।
পরে রাতেই নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে দাগনভূইয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রের শারীরিক পরীক্ষা শেষে বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম এমরানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।