× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অভিনব প্রতিবাদ

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

রাস্তায় ধান লাগিয়ে, কখনো রাস্তা খুঁড়ে মানুষের প্রতিবাদের ভাষা দেখা গেছে। তবে এবার ঝিনাইদহের একটি বাজারের ভাঙা রাস্তার উপর নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, পাঁচ বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়ে আসলেও তাতে সাড়া দেয় নি ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। অগত্যা কি আর করা! কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে এবার নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঝড়-বৃষ্টির পর ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে সোমবার বিকালে এলাকার স্কুল ও কলেজগামী যুবকরা বিশাল আকারের একটি নৌকা চালিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারে। রাস্তায় নৌকা চালানোর এই দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হান তার আইডিতে এই ছবিটি পোস্ট করলে অনেকেই তা শেয়ার করেন। সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী রাস্তায় নৌকা চালানোর কথা স্বীকার করে বলেন, খালিশপুর বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। রাস্তায় এখন খালি পায়েও চলা যায় না। গত ৫ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত হয় না। আমরা বহুবার ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি। তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় নি। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ এলাকার ছেলেরা ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছে। সাফদারপুর বাজারের ব্যবসায়ী আবু নছর জানান, খালিশপুর থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে এলাকার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কালীগঞ্জ সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদার রহমান বুধবার জানান, কোটচাঁপুরের চাঁদপাড়া, তালিনা, লক্ষ্মীপুর, সাবদারপুর হয়ে খালিশপুর বাজার পর্যন্ত মোট ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। গত বছরও পিএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু হেড অফিস অনুমোদন দেয় নি। ফলে উপর মহলের পরামর্শে এডিবি দিয়ে বিধ্বস্ত রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য স্বীকার করে বলেন, আশা করা যায় আগামী জুনের পর গোটা রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এডিপি থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমোদন এসেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর