ইটনায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় চার সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া মো. নাজিম উদ্দিন (৩৫) ও জামাল মিয়া (২৭) নামে দুই ডাকাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত ডাকাতদলের অপর দুই সদস্য হলো, মোক্তার আলী (২১) ও মারুফ (২০)। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ডাকাতদলের কোষা নৌকা থেকে একটি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ ছাড়াও রামদা, চাপাতি ও বল্লমসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার এলংজুড়ি ইউনিয়নের মরাগাঙ কলের কান্দা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইটনা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ফারুক ও এসআই কাউসার আহত হলে তাদেরকেও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডাকাতদলের আহত চার সদস্যের মধ্যে মো. নাজিম উদ্দিন মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মৃত পাছু মিয়ার ছেলে, জামাল মিয়া একই গ্রামের মৃত রহিছ মিয়ার ছেলে, মোক্তার আলী একই গ্রামের রুছমত আলীর ছেলে এবং মারুফ নিকলী উপজেলার সিংপুর গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইটনা থানাসহ আশপাশের হাওর অধ্যুষিত থানা এলাকায় আন্তঃজেলা এই ডাকাতদলটি নৌযান ব্যবহার করে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও ওসি মুর্শেদ জামান জানিয়েছেন।