মাঠে তেড়ে-ফুঁড়ে খেলছে একদল তরুণ। রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগ- সবখানেই ‘ভয়ডরহীন’ তারা। আয়াক্স আমস্টারডামের কথা বলা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবল খেলছে যারা। শেষ ষোলোতে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে কাঁদানোর পর মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে আয়াক্সের শিকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস। আয়াক্সের এমন সাফল্যের রহস্য কী? আয়াক্স কোচ এরিক টেন হাগ জানালেন সে রহস্য। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝেছিলাম, রিয়াল আর জুভেন্টাস আমাদের একটু হলেও ভয় পাচ্ছে। আসলে আমরা যে ধরনের ফুটবল খেলি, আমাদের বিপক্ষে প্রেসিং করে খেলে বিশেষ কোনো লাভ হয় না।
আমাদের খেলোয়াড়েরা টেকনিকের দিক দিয়ে অনেক বুদ্ধিমান, ফলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায় না। এমনকি রক্ষণভাগেও আমরা খেই হারিয়ে ফেলি না। নিজেদের সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে গিয়ে ফুটবল খেলতে পারি আমরা। আমাদের দর্শনটাই এমন।’
জুভেন্টাসকে হারানোর কৌশল সম্পর্কে টেন হাগ বলেন, ‘প্রথমার্ধ শেষে আমরা আলোচনা করেছিলাম কীভাবে ওদের (জুভেন্টাস) সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এমরে চানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। এ কারণে আমরা আমাদের দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ল্যাস শোন ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে পাশাপাশি রেখেছি, আর উইঙ্গারদের বলেছি যেন তারা যতটা সম্ভব ওপরে উঠে খেলতে থাকে। ফলে একাধিক আক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, জুভেন্টাসকে আক্রমণের চিন্তা বাদ দিয়ে রক্ষণে মনোযোগ দিতে হয়েছে।’ ‘টোটাল ফুটবল’ খেলে একটা সময় ইউরোপ মাতিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডাম। আশির দশকে ইয়োহান ক্রুইফ-মিসকেন্সদের শৈল্পিক ফুটবলে টানা তিনবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। মাঝখানে লম্বা বিরতি দিয়ে ১৯৯৫ সালে চতুর্থ সাফল্য পায় আয়াক্স। কিন্তু এর আর ফাইনালেও উঠতে পারেনি দলটি। দীর্ঘ দিনের আক্ষেপটা এবার ঘুচানোর পালা আয়াক্সের।