সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও মো. বাবুল মিয়া (৩৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ধারালো অস্ত্র, কস্টেপ, স্ক্রু-ড্রাইভার, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ২৪শে অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নুরুল আমীন নামের এক ব্যক্তি ইসিবি চত্বরে দাঁড়িয়ে গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন। এসময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও তাদের অন্যান্য সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলে। গাড়িতে উঠানোর পর তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে চোখে কালো চশমা পরিয়ে দুইপাশে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাইভেট কারটি গাজীপুর শালবনের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে নুরুল আমীনকে মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার আত্বীয় স্বজনদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে তার শ্যালক মো. জহির অপহরণকারীদের দেয়া বিকাশ নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠায়। টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা নুরুল আমীনকে শালবনের দিকে ফেলে চলে যায়। এই ঘটনায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ভুক্তভোগী নুরুল আমীন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করেন ডিবির উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্র আরো জানিয়েছে, আসামিরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অফিসগামী যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্ত্যস্থলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলত। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে তার কাছে যা থাকত সব লুটে নিত। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর আত্মীয় স্বজনের কাছে ফোন দিয়ে আরোও টাকা আদায় করত। টাকা নেয়া শেষ হলে তাদের চোখে মুখে মরিচের গুড়া লাগিয়ে কোন নির্জন স্থানে ফেলে রেখে চলে যেত।
ডিবি জানায়, এই অপহরণ চক্রের নেতৃত্ব দিত আনোয়ার হোসেন। তার অন্যতম সহযোগী রাজু আহম্মেদ ওরফে চাঁন মিয়াকে এর আগে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের আটক করার জন্য অভিযান চলছে।