× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জালিয়াতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা জালিয়াতদের বহিষ্কার চেয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে একাত্মতা পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। এসময় তিনি জালিয়াতদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি করেন। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশ্নফাঁস হলে প্রশাসন সেটি অস্বীকার করে।
তারা বলে যে, ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমেও কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়? ছাত্রলীগসহ সকল সংগঠন জালিয়াতদের বহিস্কারের দাবি জানিয়েছিল। তাহলে তাদের এখনো কেন বহিস্কার করা হচ্ছে না? তাহলে কি আমরা ভেবে নিবো, জালিয়াতদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও জড়িত রয়েছে। এসময় তারা জালিয়াতদের অবিলম্বে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। মানববন্ধনে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, শিক্ষার্থীরা জালিয়াতদের বহিষ্কারের যে দাবি জানিয়েছেন, তাতে কোনো কালক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত সিনেট-সিন্ডিকেট সভা ডেকে জালিয়াত ও জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে বের হয়ে গেছেন, তাঁদের সনদ বাতিল করতে হবে, প্রত্যেক জালিয়াতের নাম-পরিচয়সহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, যাতে অসৎ উপায়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দুঃসাহস না করেন। তিনি বলেন, ভিসি স্যার বলেছেন, জালিয়াতদের শনাক্ত করা হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু চাপে না রাখলে কোনো দাবি আদায় হয় না। ভিপি নুর বলেন, অসৎ উপায়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে এলেও প্রশাসন ব্যর্থতা ঢাকতে সব সময় দায়সারা বক্তব্য দিয়েছে, কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো তদন্ত কমিটি জালিয়াতির ঘটনা খুঁজে বের করতে পারেনি, বের করেছেন সাংবাদিকেরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, জালিয়াতরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করছে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ জালিয়াতি হলেও প্রশাসন এদের ব্যাপারে নিশ্চুপ। শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঐতিহ্য রয়েছে, তা এখন আর নেই। যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ মানুষের টাকায়। আমরা চাই না কোন চোর, লম্পট এই টাকার সুবিধা ভোগ করুক। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন অরণি সেমন্তি খান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খান, শেখ এমিলি জামান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী চয়ন বড়ুয়া প্রমুখ।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর