তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লাইসেন্সের শর্ত বাস্তবায়নে ক্যাবল অপারেটরগুলোকে সময় বেঁধে দেয়া হবে। কেউ সেই শর্ত ভাঙলে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে কেবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াবের ঐক্য পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, কেবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছেন তারা শুধু কেবল নেটওয়ার্কই পরিচালনা করবেন। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নেই। সিনেমা দেখানো বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান দেখানোর সুযোগ নেই।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে কেবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না।
অনেক সময় সিনেমা চালানো হয়, গানের অনুষ্ঠান চালানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না। তথ্যমন্ত্রী কোয়াবের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে একটি আহ্বান জানানো হয়েছিল- বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সামনে রাখতে হবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল, বিটিভির চারটি চ্যানেল- বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ড, সংসদ টিভি এবং বিটিভি চট্টগ্রাম। এগুলো প্রথমে, এরপর বাংলাদেশের অন্য চ্যানেলগুলো প্রতিষ্ঠার সময় ধরে সিরিয়ালে রাখতে হবে, সেটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না। অনুরোধ জানাব আপনাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে অতিসত্ত্বর জানিয়ে দেয়া লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী যে কাজগুলো করতে পারেন তার বাইরে যেন কেউ কোনো কার্যক্রম না করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো বিজ্ঞাপন না দেখানো, নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান না দেখানো, বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালি রাখা- এ কাজগুলো করলে আমি মনে করি যে বিশৃঙ্খলা রয়েছে, তাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারেন। আপনাদের যেসব সদস্য এখনও সঠিকভাবে নিয়ম পালন করছেন না তাদের জানিয়ে দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে দেব, সেই সময়সীমার পরে যদি কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে কাজগুলো করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক করে যে দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সেগুলোর সমপ্রচারের দায়িত্বে আছে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা প্রাথমিক জবাব দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জবাব দিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। সেই সময় দেয়া হয়ছে, সেটি এখনও শেষ হয়নি। বিদেশি চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন যাতে প্রদর্শিত না হয় সেজন্য কেবল অপারটেরদের সহযোগিতা চাইছি।