অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম ওরফে বাদশা ট্যাটুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা এক মামলার শুনানি শেষে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমান তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের উপ-পরিদর্শক সজীবুজ্জামান মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ট্যাটু স্টুডিও নিউ মার্কেট নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি অশ্লীল পর্নো ভিডিও তৈরি করে তা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিওর কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য ও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সচেতন মহল ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তাই তারা এই ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিসহ অজ্ঞাত এক নারীর সহযোগীতায় এই পর্নো ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং ওই পেজ থেকে ১৩ই এপ্রিল ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।
আসামির হেফাজত থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল আলামত, ফেসবুকের ফেইক আইডি উদ্ধারসহ অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজনে বাদশা ট্যাটুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এর আগে মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকা থেকে তরিকুল ইসলাম বাদশা ট্যাটুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিম। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ডিএমপির সাইবার টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার বাদশা ট্যাটু একটি অশ্লীল পর্নো ভিডিও তৈরি করে তার একটি ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করেছে। সচেতন মহল এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে মন্তব্য করেছেন।
তাই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কারণ এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য হুমকি। আমরা তার ফেসবুক আইডি ও তার ট্যাটু স্টুডিও নিউমার্কেট পেজটি বন্ধ করে দিয়েছি।