মালিবাগ কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত: ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমন দাবি মালিবাগ বাজার বণিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।
আজ সকালে সমিতির কার্যকারী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নুরুল হক নুরু গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারের ২৬০টি দোকানের মধ্যে কোনটিই আর অবশিষ্ট নেই। মাছ, মাংস, চাল, ডালসহ সব পুড়ে ছাই হয়েছে। বাজারে থাকা গরু-ছাগলও পুড়ে গেছে। আমাদের সমিতি থাকা টাকা পয়সাও পুড়েছে। প্রতিটি দোকানেই কমবেশি নগদ টাকাও ছিল। কোনো দোকানেই ৫০ হাজার টাকার কম জিনিস ছিল না।
সব মিলিয়ে অন্তত: পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
কাঁচাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, খবর পেয়ে এসে দেখি বাজারের পশ্চিম পাশের প্লাস্টিকের দোকান থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও পানি সংকট ছিল। খবর পাওয়ার আধা ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসেছে।
দোকানে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার ইলিশ মাছ ছিল বলে জানান স্বপন। তিনি জানান, তার সব মাছ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা স্বপন এখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন।
হাছান নামের মাছের ব্যবসায়ী জানান, দোকানে ৪৫ হাজার টাকার মাছ ছিল। তার দোকানেরও সব মাছ পুড়ে গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভেতরে কিছু অবশিষ্ট নেই। চাল ডাল সবই পুড়েছে। ফলমূলও ছাই হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপারেশন ও মেইন্টেনেন্স) দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, আগুনের ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি। আমরা অনেককেই উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। তবে অন্তত ২০টি ছাগল পুড়েছে। বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। আগুনের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। প্রথমদিকে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে পানি দেয়া শুরু করে। এর মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আনুমানিক সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে কাঁচাবাজারের আগুন নেভানো হয়।