দেশব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হয় পহেলা বৈশাখ। সেই মাত্রা দ্বিগুণ রূপে ধরা দেয় পাহাড়ে। পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ঘটা করে পালন করে উৎসবটিকে। চাকমা সমপ্রদায় বিজু, মারমারা সাংগ্রাইং আর ত্রিপুরারা হাঁড়িবসু বলে থাকে। এই আয়োজনের মূল আকর্ষণের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজু। ফুল বিজুতে তারা চেঙ্গি নদীতে ফুল ভাসিয়ে দূর করে জরা। মারমাদের আকর্ষণ রি-আকজা বা জলকেলি।
তারা পানিকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।
তাই জলকেলি উৎসবে পানি ছিটিয়ে দুঃখকে দূর করে আগমন জানায় নতুন দিনকে। পাহাড়ি সব সম্প্রদায়ের সদস্যরা পহেলা বৈশাখের সকালে যৌথভাবে বের করেন মঙ্গলশোভা যাত্রা।
সকলে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এই দিনে প্রতিটি বাড়িতে রান্না করা হয় পাচন। পাচন হচ্ছে অনেক সবজির মিলে একটি তৈরি সবজি। তাদের বিশ্বাস, এটি গ্রহণে দূর হয় রোগ ও বৃদ্ধি পায় জীবনী শক্তি।