× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বানিয়াচংয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

বাংলারজমিন

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার

বানিয়াচং চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খানের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল ইসলাম সরজমিন তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত সুপারিশ করেন। এদিকে গত বুধবার সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা শাখার বিভাগীয় উপ-পরিচালক একেএম সাফায়েত আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক এর দপ্তর থেকে এক পত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি দপ্তর আদেশ এসেছে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মিয়াখানি মহল্লাস্থ শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খান এর বাড়িতে ৫ম শ্রেণির জনৈক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যায়। তখনও অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা প্রাইভেট পড়তে এসে পৌঁছায়নি।
এই সুযোগে শিক্ষক মোজাম্মিল তার ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রী কক্ষ থেকে দৌড়ে বের হয়ে পাশের বাড়ির এক মহিলার শরণাপন্ন হয়। ওই মহিলা ছাত্রীর মা’র কাছে খবর পাঠালে মা এসে ছাত্রীকে নিয়ে যান। ঘটনাটি ছাত্রীর চাচা তাৎক্ষণিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে জানান। পরে ওইদিন বিকালের দিকে ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ জমা দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলামের কাছে। প্রধান শিক্ষক মোজাম্মিল আগেও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করছেন বলে লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। ছাত্রীর চাচা জানান, খবর পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক তার কৃতকর্মের জন্য শিক্ষা অফিসারের সামনেই আমার কাছে এবং ছাত্রীর বাবা-মা’র কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা প্রাথমিক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীর চাচার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক স্কুলে ছুটে যাই। তখন স্কুল কমিটির সভাপতি কাজল চ্যাটার্জি, প্রধান শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খান ও ছাত্রীর মা-বাবার সামনে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে ছাত্রী ঘটনার বর্ণনা করে। তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে দু’দিনের জন্য পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর