চাঁপাই নবাবগঞ্জে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন। দণ্ডপ্রপ্তরা হলেন- চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের নয়ন কর্মকার রবিদাস, সোনাপট্টি গ্রামের প্রশান্ত রবিদাস, চাকপাড়া গ্রামের নিতাইচন্দ্র রবিদাস, সুভাষ দাস (৪২) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস (২২) উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ই জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ই আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।