চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়াও নিয়োগের জন্য হওয়া মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে নিয়োগ প্রার্থী এমদাদুল হকের আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চবি ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরীকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমদাদুল হকের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ই এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি মো. কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমদাদুল হকের করা রিট শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার। পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গত ২৭শে মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য মো. এমদাদুল হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে পৌঁছানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী তার পথ আটকায় এবং অবরোধ করে তাকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের কোনায় নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে তারা। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্যাগোডায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে নিয়ে এমদাদুল হককে মারধর করে তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার দুইদিন পর ৩০শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এমদাদুল এবং অনুরোধ করেন যেন তাকে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। এমদাদ এই দরখাস্তটি করার পর দেশের সব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়।