কোরিয়া উপদ্বীপ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে চায় না উত্তর কোরিয়া। তাকে সরিয়ে আরো সচেতন ও পরিপক্ব কাউকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া আবারো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনার ক্ষেত্রে পম্পেওকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানায়। এর আগেও উত্তর কোরিয়া পম্পেওর বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল। এ বছরের শুরুতে ভিয়েতনাম সামিটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেপরোয়া আখ্যা দেয় পিয়ংইয়ং। তখন উভয় পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণে ডনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন কোনো সমঝোতা ছাড়াই বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন। তবে ওই বৈঠকে আসলে কি ঘটেছে, তা নিয়ে উভয় পক্ষ ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আংশিক মুক্তির বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম ত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উত্তর কোরিয়া আংশিক নয়, তাদের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াকে তাদের সব পারমাণবিক অস্ত্র ও জ্বালানি যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে দিতে বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছিলেন পম্পেও ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
গতকাল উত্তর কোরিয়ার আমেরিকান অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক জং গুনের উদ্ধৃতি দিয়ে কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, মাইক পম্পেও যদি আবারো আলোচনায় যুক্ত হন, তাহলে সমঝোতা প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। আশা করি, আমাদের ভবিষ্যৎ আলোচনায় পম্পেও বিপরীত পক্ষে থাকবেন না। সেখানে এমন কাউকে বসানো হবে, যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আরো সচেতন ও পরিপক্ব থাকবে।
গত বছরের জুলাইতে পিয়ংইয়ং সফর করে পম্পেওর নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদল। তখন উত্তর কোরিয়া আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, পম্পেও একতরফাভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে গ্যাংস্টারের মতো আচরণ করছেন। পরে কিম জং উন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সমঝোতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।