প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রুনাই সফরে দেশটির সঙ্গে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই দেশের কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হতে পারে। ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্রুনাই ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র ১০ লাখ ডলারের মতো জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে দেশটির। এছাড়া মিয়ানমারের ওপর প্রভাব বিস্তরের ক্ষমতাসম্পন্ন এশিয়ানের সদস্য হওয়ায় ব্রুনাইয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করবেন তারা। কৃষি, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য সম্পদ, প্রাণিসম্পদ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয়পক্ষের সম্মতিতে এই ছয়টি সমঝোতা স্মারক ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
আরও একটি বিবেচনায় রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ব্রুনাইয়ের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী আমরা। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (বাইল্যাটারাল) মো. কামরুল আহসান বলেন, ব্রুনাই আমাদের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ করতে পারে। তাদের চাহিদা মতো খাবার প্রস্তুত করে এখান থেকে রপ্তানি করতে পারে। এখানে অনেক সুযোগ, সফরের গুরুত্ব বোঝাতে বলেন তিনি। সফরে ইস্তনা নুরুল ইমানের বাইতুল মেসউয়ারায় সুলতানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বেঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দেশটির অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তার আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার মতবিনিময় হবে। সফরকালে ব্রুনাইয়ের রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা জালান কেবাংসানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি রয়েল রেজালিয়া জাদুঘরও পরিদর্শন করবেন।