× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে তৃতীয় দফার ভোট চলছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ২৩, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। নির্বাচন কমিশন এদিনের ভোটকে অবাধ করতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলার ৫ কেন্দ্রের নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত গোলমাল, সংঘর্ষ, ভোটারদের বাধাদান, এমনকি গুলি চালনা ও বোমাবাজির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এদিন সকালে ছত্তিশগড়ে ভোট চলাকালীন মাওবাদীরা আইপি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। আজ মঙ্গলবার ১৩টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১১৭টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। ভারতে এবার সাত দফায় ভোট হচ্ছে।

প্রথম দুই দফায় মোট ১৮৬টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে।
এই দফায় ১৬১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। এদিন গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ ভোট দিয়েছেন। মোদী ভোট দেবার আগে আহমেদাবাদে মায়ের সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ নিয়েছেন। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মোদী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র আইইডি, আর গণতন্ত্রের শক্তি ভোটার আইডি। আর এই ভোটার আইডির শক্তি অনেক বেশি। তাই সবাই ভোট দিন। আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে গুজরাটের সব কটি অর্থাৎ ২৬টি আসনেই। একইসঙ্গে এই রাজ্যের ৪টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসনে, আসামের ৪টি আসনে, উত্তর প্রদেশের ১০টি আসনে, ওড়িশার ৬টি লোকসভা আসন এবং ৪২টি বিধানসভা আসনে, ছত্তিশগড়ের ৭টি আসনে, কর্ণাটকের ১৪টি আসনে,  কেরালার ২০টি আসনে, মহারাষ্ট্রের ১৪টি আসনে, গোয়ার ২টি লোকসভা এবং ৩টি বিধানসভা আসনে, বিহারের ৫টি আসনে, দাদরা নগর হাভেলির ১টি কেন্দ্রে এবং দমন দিউয়ের ১টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। গত দফায় ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অভাবের জন্য ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কেন্দ্রেও আজ ভোট হচ্ছে। আজ যে সব আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ৬৩টি আসনেই লাল সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এই সব কেন্দ্রে ফৌজদারি অপরাধী প্রার্থী রয়েছেন ৫৭০ জন।

আজ দুই প্রতিপক্ষ দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। রাহুল গান্ধী আমেথির পাশাপাশি দাঁড়িয়েছেন কেরালার ওয়েনাদ কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে গুজরাটের গান্ধীনগর কেন্দ্রের সাতবারের সাংসদ লালকৃষ্ণ আদবানিকে সরিয়ে এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়া আর যাদের ভাগ্য এদিন নির্ধারিত হতে চলেছে তাদের অন্যতম হলেন, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, কংগ্রেসের শশী থারুর, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, বিজেপির বরুণ গান্ধী, পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টির মেহবুবা মুফতি প্রমুখ।

তৃতীয় দফার নির্বাচন বিজেপির কাছে বিরাট পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে। বিজেপি এই দফায় তাদের জয়ী ৬২টি আসন দখলে রাখার লক্ষ্যে লড়াই করছে। অন্যদিকে কংগ্রেস গতবারের জয়ী ১৬টি আসনকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটের ২৬টি আসনে বিজেপি কি ফল করবে তার উপর নির্ভর করছে মোদীর ভবিষ্যৎ।

অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসনে আজ ভোট চলছে ঢিমেতালে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫-১৭ শতাংশ। যে সব আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলি হল, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, বালুরঘাট, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। এর মধ্যে বালুরঘাট আসনটি গতবার তৃণমূলের দখলে এসেছিল। বাকীগুলির মধ্যে কংগ্রেস ৩টি আসনে এবং সিপিআইএম ১টি আসনে জিতেছিল।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পাঁচটি আসনই চাইছেন । তিনি এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেনও। মমতার মতে, এই পাঁচ আসন জিতলেই তৃণমূল এবার ৪২টি আসনই পাবে। দিল্লিতে মোদিকে হটিয়ে নতুন সরকার গড়ার কারিগর হবেন তিনি। কিন্তু ৫ আসনেই রয়েছে বিপক্ষ বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী। মালদহ উত্তর আসনে এবার প্রার্থী দেয়নি বামফ্রন্ট। এখানে লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী।

অন্য চারটি আসনে লড়াই হচ্ছে চতুর্মুখী। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও গোলমাল হয়েছে তা তৃতীয় দফাতেও অব্যাহত রয়েছে। তবে অপেক্ষাকৃত কম বলে দাবি করেছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা। রাজ্যে ভোট চলছে ৩২৪ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। নির্বাচনের ঠিক আগে ৮জন পুলিশ আধিকারিককে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছে। আগেই সরানো হয়েছে মালদহের পুলিশ সুপারকেও।  এদিন নির্বাচনে শুরু থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে। ছাপ্পা ভোটে সাহায্য করার অভিযোগে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের রতুয়ার একটি বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় বিরোধী এজেন্টদের ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গুলি চলার ঘটনায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। যদিও গুলি চলার ঘটনা এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। ভোটকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি এলাকা। ভোট দিতে গেলে লাইন থেকে বের করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর