আওয়ামী লীগের দুর্দিনে শেখ হাসিনা সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেছেন বলে মন্তব্য করেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে, মাঠে-ঘাঠে ঘুরে দলকে গতিশীল করে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। দল বিস্তার করেছে ইউনিয়ন পর্যন্ত। আর সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই আওয়ামী লীগ টানা তিনবারসহ চারবার সরকার গঠন করেছে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তার কন্যা দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন।
সেদিন আওয়ামী লীগ যে কারণেই সভাপতি নির্বাচিত করুক না কেন, পরবর্তী সময়ে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিয়েছে
শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংগ্রামের ওপর দাঁড়িয়েই টানা তিনবার সরকারে আওয়ামী লীগ। তাই তার অবর্তমানে ১৯৮১ সালে তাকে সভাপতি বানানো ছিল সম্পূর্ণ সঠিক সিদ্ধান্ত। দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাসহ শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশকে উন্নয়নের উৎকর্ষের দিকেও নিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানের এজেন্ট পাকিস্তানের সহযোগী শক্তি বিএনপি-জামায়াত আবারও গণতন্ত্রের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অশুভ তৎপরতা চালিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। এই অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাসিম, এনামুল হক শামীম, শিক্ষা সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সংসদ সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।