জাতীয় প্রয়োজনে ঐক্যফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত মাহফুজ উল্লাহর স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে, একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বলে আমাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল কর্মসূচি এক হবে বিষয়টা সেটি নাও হতে পারে। পাটকল শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশের পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি-ভাতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তারা রাস্তায় নেমে যাওয়ার পরও তাদের সঙ্গে সরকারের কোনো কথা হচ্ছে না। তিনি বলেন, যারা ব্যাংক লুট করেছে, দুর্নীতি করেছে, তাদের অর্থ ঋণ ও তাদের সবকিছু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছে সরকার। এই সরকার গরীব, শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতী মানুষের সরকার নয়।
তাই আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক।
স্মরণসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য নাসিম সাহেবের মত লোক বললেন পয়সা দিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী কেনা যায়, এমনকি বিচার-আদালত কেনা যায়। হাই কোর্ট তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি রুল দিতে পারে না। অথচ বেগম খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে খুব বিরত্ব দেখাতে পারে। নাসিম সাহেব যখন স্বীকার করেছেন, তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ করে একটা দৃষ্টান্ত দেখান যে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে আমি পদত্যাগ করলাম। তিনি বলে, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিষয়টি ঠিক না। বরং আপনাদের প্রশংসা করা উচিত যে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা আছে। শেখ হাসিনার মতো মুখের উপর ধমক দিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয় না এখানে। মাহফুজ উল্লাহকে স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেক সময় নদীপথে আবহাওয়া খারাপ হয়। তখন নৌযানগুলো যেন বিভ্রান্ত না হয় তার জন্য মোহনা গুলোতে লাইটহাউস থাকে। যেখান থেকে সিগন্যাল দেয়া হয় এই পথে না, আপনি এই পথে যাবেন। মাহফুজ উল্লাহ সাহেব ছিলেন তেমনই একজন মানুষ।
আয়োজক সংগঠনের সহ- সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মৎসজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।