× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার এইচআরডব্লিউ’র নিন্দা

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৮ মে ২০১৯, শনিবার

বৃহস্পতিবার নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সমপ্রতি অধিকারকর্মী, কবি ও একজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একে মত প্রকাশে স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্পষ্ট আখ্যা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বিবৃতিতে সংস্থাটি অধিকারকর্মী আব্দুল কাইয়ুম, কবি হেনরি স্বপন ও আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদকে গ্রেপ্তারের কথা বলেছে। এতে বলা হয় এই তিন জনকে কঠিন ৫৭ ধারা অর্থাৎ সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি আইন অথবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া মহাদেশের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত তার সমালোচকদের গ্রেপ্তার বন্ধ করা এবং স্বাধীন মত প্রকাশ নিশ্চিতের জন্য আইনের এই ধারাটিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিস্থাপন করা।

এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ১৫ মে শাহবাগে লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ১৬ই মে হেনরি স্বপন ও ইমতিয়াজ মাহমুদকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
তবে আব্দুল কাইয়ুম এখনো কারাগারে রয়েছেন। এর আগেও অসপষ্টতা ও পুলিশকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়ায় ৫৭ ধারার ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ২০১৭ সালে আইসিটি আইনে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ইমতিয়াজ মাহমুদকে। ৫৭ ধারা বাতিল করে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। তখন বলা হয়েছিল নতুন এ আইনের ফলে স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার বন্ধ হবে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, নতুন এ আইনও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করছে। নতুন এ আইনে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নিয়ে কোনো অপপ্রচার চালালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। এ আইনের পর বাংলাদেশ সমপাদক পরিষদ জানায়, নতুন এ আইন বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।

আব্দুল কাইয়ুম মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের একজন কর্মী। একইসঙ্গে ময়মনসিংহলাইভ নামে একটি নিউজ পোর্টালের সমপাদকও। তাকে গত ১২ই মে আটক করা হয় এবং ১৩ই মে তার জামিন আবেদন বাতিল করা হয়। ইদ্রিস আলী নামের এক মাদরাসা শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলা করে।
বরিশাল থেকে কবি হেনরি স্বপনকে ১৪ই মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করেন এক যাজক। হেনরি স্বপন এক ফেসবুক পোস্টে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করায় স্থানীয় খ্রিষ্টান সমপ্রদায়ের বিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদারের সমালোচনা করেন। যার কারণে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর