× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৯ মে ২০১৯, রবিবার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কমপক্ষে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিবন্ধিত করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রথমবারের মতো দেয়া হয়েছে পরিচয়পত্র। এটা হলো ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ায় তাদের যে অধিকার, তার প্রমাণ। বার্তা  সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এসবিএস নিউজ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর বলছে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া মানবপাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনপ্রয়োগকারীদের কাছে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। জেনেভায় ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহিসিচ সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর এক চতুর্থাংশের বেশিকে নিবন্ধিত করেছে এবং পরিচয়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ও ইউএনএইচসিআর। ২০১৭ সালের আগস্টে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতন শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে এসব শিবিরে অবস্থান করছিলেন তিন লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থী।
ফলে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় কমপক্ষে ১০ লাখ।

যারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অভিযোগ গণধর্ষণ করা হয়েছে মিয়ানমারে। গ্রামের পর গ্রামে গণহত্যা চালানো হয়েছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়িঘর। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হয়েছে এর পক্ষে যৌক্তিক প্রমাণ রয়েছে। ইউএনএইচসিআর এখন কক্সবাজারে গাদাগাদি করে অবস্থান করা শিবিরগুলোতে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা আছেন বলে মনে করছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য ত্রাণ বিষয়ক সংগঠনের দাবির চেয়ে এই সংখ্যা কম। আন্দ্রেজ মাহিসিচ বলেন, রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জুনে। তারা যাতে তাদের  দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারেন সেই অধিকারের পক্ষে এই নিবন্ধন একটি সেফগার্ড হিসেবে কাজ করবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। কিন্তু এখনো নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। নাগরিকত্বের ইস্যুতে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় যেসব শরণার্থীর বয়স ১২ বছরের উপরে তাদেরকে দেয়া হয়েছে নতুন ওই পরিচয়পত্র। এতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। যেমন এতে রয়েছে তাদের নাম, পারিবারিক সম্পর্ক, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিসের স্ক্যান। আর শরণার্থীদের মূল দেশ মিয়ানমার হিসেবে তাতে নিবন্ধিত হয়েছে। আন্দেজ মাহিসিচ বলেন, প্রায় ৬০ হাজার পরিবারের মোট ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৮ জন শরণার্থীর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। দিনে নিবন্ধিত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর