নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুুুুুুুুুুুুঁটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কালিকাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমি ব্যক্তি বিশেষের জন্য ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের জমিদাতার পরিবারের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিকাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের সীমানার দক্ষিণ প্রান্তে ১০/১৫ ফুট প্রতিষ্ঠানের জমি স্থানীয় তথাকথিত প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির যাতায়াতের জন্য রাস্তার জায়গা রেখে ভবনের লে-আউট প্রদান করে ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি। এছাড়াও ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে ফাঁকা জায়গার সীমানা বরাবর প্রাচীর নির্মাণ না করে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠের সম্মুখ ভাগ পূর্ব পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের জায়গা ব্যক্তিগত কাজে যেন ব্যবহার না হতে পারে এর প্রতিবাদ করে গত ২রা মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিশোরগঞ্জ, বিভাগীয় কমিশনার রংপুর, জেলা প্রশাসক নীলফামারী ও উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, শিক্ষা অঞ্চল রংপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন পুঁটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও অত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি তোরাব আলী সরকারের সহধর্মিণী জাহানারা বেগম। সরজমিন কালিকাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে অনেকটা জায়গা বাদ রেখে একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে এবং মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় কলেজের কিছু জমি বাইরে রেখে ভবন নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতলুবুর রহমান চৌধুরী জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হলে কলেজের জমির সীমানা বরাবর প্রচীর নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে জানান, সরজমিন তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।