× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জীবনযুদ্ধে একই পরিবারের ৫ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী

বাংলারজমিন

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৯ মে ২০১৯, রবিবার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একই পরিবারের শিশু, নারীসহ ৫ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জীবনযুদ্ধে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চায়। জীবনের বেশিরভাগ সময় তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে কাটাতে হয়। বিশেষ করে এই রমজান মাসে অর্থ সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের লামচরী গ্রামের বাসিন্দা এই পরিবারটি একটু উন্নত জীবনযাপন করতে চায়। সরকারিভাবে যেটুকু সহযোগিতা পায় তাতে ৫ সদস্যের একটি পরিবার ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে না। মানুষের দান-সদকাই তাদের মূল ভরসা। ওই পরিবারের গৃহকর্তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ ইসমাইল হোসেন জানান, অভাবই তাদের নিত্যসঙ্গী। দিনরাত আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ফরিয়াদ করেন।
এই রমজানে অনেক সময় সেহ্‌রি না খেয়েও রোজা রাখতে হয়েছে তাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের লামচরী গ্রামের মাঈন উদ্দিন বেপারী বাড়ির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী গৃহকর্তা ইসমাইল (৫৫) তিন ছেলে ও এক বোনকে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বড় ছেলে রহমত উল্যা (৩০) জন্মগত ভাবেই অন্ধ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তারা হচ্ছেন- আয়াত উল্যা (২৮) ও নেয়ামত উল্যা (১৫)। গৃহকর্তা হাফেজ ইসমাইল হোসেন শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তার বড় বোন আমেনা বেগমও অনুরূপ প্রতিবন্ধী। তিনি ভাই ইসমাইলের সঙ্গে থাকেন। ইসমাইলের বাবাও ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ কেরামত আলী। তিনি বারো বছর আগে এবং তার স্ত্রী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোমেনা বেগম ৪ বছর আগে অর্থ সংকটে চিকিৎসার অভাবে মারা যান। হাফেজ ইসমাইল আরো জানান, তাদের পরিবারে রোজগার করার মতো কেউ নেই। এজন্য বেশির ভাগ সময় তাদেরকে অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হয়। তারা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান, যেন বিত্তবানরা তাদের ফিতরা জাকাতের একটা উপযুক্ত অংশ দান করে আমাদের জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করেন। উপযুক্ত দান-সদকা পেলে তারা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিবারটির জন্য কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় সময় কিছু না কিছু সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। এই পরিবারের দু’জন প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। তারপরও তাদের জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করছি। তাদের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মো. আয়াত উল্যা, সঞ্চয় হিসাব নং-১৩৮৪৮, ইসলামী ব্যাংক রায়পুর, লক্ষ্মীপুর। মোবাইল: ০১৭২৭-৫৬০৪৩৭।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর