১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র দাস (৭০) আর নেই। তিনি গতকাল দুপুর ১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম তলার সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন থেকে মরণব্যাধি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র দাসের মূত্রথলিতে ক্যানসার ধরা পড়ায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে তার মূত্রথলি অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। প্রথম দিকে কিছুটা সুস্থ হলেও এরপর থেকে ক্যানসার রাখাল চন্দ্র দাসের পুরো পেটসহ শরীরের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। গত ৭/৮ দিন পূর্বে রাখাল চন্দ্র দাসের প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে ওসমানীনগরের ইউএনও মো. আনিছুর রহমান তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ৫ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। এরপর থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।
মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফতাব আহমদ জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন শেষে বালাগঞ্জ সদর ইউপির শ্মশান ঘাটে মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র দাসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
বোরহানউদ্দিনে অভিযান, ২০টি জাল ধ্বংস
বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আলিমুদ্দিন বাংলা বাজার ঘাট এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবৈধভাবে রেণু পোনা সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০টি জাল ধ্বংস করা হয়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শুক্রবার বিকাল ৫টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার ঘাট এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খানম রেখা অবৈধভাবে রেণু পোনা সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ২০টি রেণু পোনা সংগ্রহকারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত পোনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই উপজেলাটি সৃষ্টিকর্তা অপার সম্পদে সমৃদ্ধ করেছেন। এসব সম্পদে আপনার ও আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করি এবং সবাই রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।
আমি চাই এই উপজেলাটি সম্পদে ভরপুর একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে।