বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় হরিণের ৫ মণ মাংস, ২টি মাথা, ২টি চামড়া ও হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করেছে বন বিভাগ ও পুলিশ। গতকাল ভোররাতে সাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা এলাকার বনফুল আবাসন এলাকার খালে একটি ইঞ্জিনচালিত বোটে পরিত্যক্ত অবস্থায় এগুলো পাওয়া যায়। কোস্টগার্ড ও পুলিশ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জের আওতায় হরিণঘাটা বন অফিসের বিট কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগ জানান, গতকাল ভোররাতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বনফুল আবাসনে একটি খালে ইঞ্জিনচালিত একটি বোটে কয়েকজন মানুষ দেখে স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন ঘরামির ছেলে মো. হানিফা ‘ওখানে কারা’ জিজ্ঞেস করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। বন বিভাগকে খবর দিলে তারা ভোররাতে মাংস বহনকারী ইঞ্জিন বোট, আনুমানিক ৫ মণ হরিণের মাংস, ২টি মাথা ও ২টি চামড়া ও ২ বস্তা হরিণ ধরার ফাঁদ জব্দ করে পাথরঘাটা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায়। জব্দকৃত বোটের মালিক পদ্মা গ্রামের আবদুর রহমান সিকদার। তার ছেলে ইলিয়াস স্থানীয় কোস্টগার্ডের মাঝি বলে আবাসনের অধিবাসীরা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী দাবি করেন, মাঝি ইলিয়াসকে তার বাবা হরিণ শিকারি আবদুর রহমান সিকদার অপকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বন আইনে মামলা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮টি হরিণ জবাই করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ পেলে মাংস মাটি চাপা ও চামড়া আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।