২০২২ বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লাওস। দুই লেগের এই খেলার প্রথম ম্যাচ খেলতে গতকাল দুপুরে ঢাকা ছেড়েছে লাল-সবুজ দল। দেশ ছাড়ার আগে জয় নিয়েই ফেরার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে’র। আপাতত জামাল ভুইয়াদের গন্তব্য ব্যাংকক। সেখানে ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্পে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ৩ জুন বাংলাদেশ দল যাবে লাওসে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৬ই জুন মুখোমুখি হবে প্রথম পর্বে খেলায়। ফিরতি লেগ ঢাকায় হবে ১১ই জুন। হোম ও আ্যাওয়ে ম্যাচ দুটির জন্য ২৩ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ।
এই স্কোয়াডে বেশকিছু পরিবর্তন আছে। সর্বশেষ কম্বোডিয়ার বিপক্ষে খেলা দল থেকে তিন ডিফেন্ডার- তপু বর্মণ, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মনজুরুর রহমান মানিক, গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া বাদ পড়েছেন। তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল, মিডফিল্ডার- মামুনুল ইসলাম ও ইমন মাহমুদ, ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। তাদের সঙ্গে নতুন দুই মুখ ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান ও ফরোয়ার্ড আরিফুর রহমান আছেন স্কোয়াডে। নতুন-পুরনোদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী জেমি ডে। চুক্তি নবায়ন করার পর গতকালই দল নিয়ে উড়াল দিয়েছেন ব্যাংককে। দেশ ছাড়ার আগে দল নিয়ে জেমি ডে বলেন, ‘এই দলটি সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা আছে। ইনজুরির কারণে একাধিক খেলোয়াড় নেই। তবে যারা সুযোগ পেয়েছে, তাদের প্রতি আমার আস্থা আছে। তারা দলের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে। লাওসের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুটি ম্যাচের বাধা পেরিয়ে বাছাই পর্বে যেতে হবে। তার আগে থাইল্যান্ডে ভালো অনুশীলন হবে। আশা করছি আমরা নিজেদের আরো গুছিয়ে নিতে পারব।’ লাওস থেকে জয় নিয়ে ফেরার লক্ষ্য বাংলাদেশ কোচের, ‘আমরা জেতার জন্য লাওস যাচ্ছি। যদিও জানি অ্যাওয়ে ম্যাচ বেশ কঠিন হতে পারে। তবে আমরা আশাবাদী ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে পারবো। তবে জিততে না পারলে ড্র হলেও ফল খারাপ হবে না। তখন আমাদের মাঠে জেতার সুযোগ বেশি থাকবে।’ চাপমুক্ত হয়ে উপভোগ্য ফুটবল খেলার প্রত্যাশা জেমি ডে’র, ‘আমরা কেউই চাপে নেই। সবাই ভালো ফুটবলের প্রত্যাশা করছি। আমরা সেরাটা দিতেই মাঠে নামবো। গত বছর ভালো ফুটবল খেলেছি, ছেলেরা প্রমাণ করেছে তারা বড় পর্যায়ে খেলতে জানে। ফুটবলটা আমরা উপভোগ করতে চাই।’ ২০১৬ সালে ভুটানের কাছে হেরে বাংলাদেশের ফুটবল চরম এক লজ্জার সাক্ষী হয়। দিনকয়েক আগে লা লিগায় বিশ্লেষকের ভূমিকায় কাজ করা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবার আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দিতে চান না, ‘সবাই জানে ভুটানের সঙ্গে তিন বছর আগে কী হয়েছিল। যদিও ওই সময় আমি দলে ছিলাম না। এবার আশা করি একেবারেই আলাদা ফল হবে। আমরা তপুকে খুব মিস করবো, ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার। তবে আমাদের আরো কয়েকজন ভালো ডিফেন্ডার আছে। আমরা পরের পর্বে যেতে চাই।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো, মাজহারুল ইসলাম হিমেল; ডিফেন্ডার: টুটুল হোসেন বাদশা, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, ইয়াছিন খান, সুশান্ত ত্রিপুরা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিয়াদুল হাসান, রহমত মিয়া; মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া জনি, মামুনুল ইসলাম, ইমন মাহমুদ বাবু, সোহেল রানা, রবিউল হাসান; ফরোয়ার্ড: মতিন মিয়া, নাবিব নেওয়াজ জীবন, মাহবুবুর রহমান সুফিল, তৌহিদুল আলম সবুজ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফুর রহমান, বিপলু আহমেদ।