কাউন্সিলরশিপের তালিকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা পড়েছে। ঈদের পরেই জারি হতে পারে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন। দেশের আট বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থার ১১৫ জন কাউন্সিলর হয়েছেন। দীর্ঘ তালিকায় স্থান হয়নি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক অ্যাথলেটদের। এই তালিকায় আছেন ১৯৯৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া সুফিয়া খাতুন, ২০০০ সালের শামীমা সুলতানা মিমু ও রাজিয়া সুলতানা অনু, ২০০৪ সালে মিলজার হোসেন, ২০০৫ সালের নজরুল ইসলাম রুমি। গুঞ্জন আছে বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পছন্দের লোক না হওয়াতে এদের কাউন্সিলর করেনি ফেডারেশন।
খেলোয়াড়ি জীবন যেমন বর্ণাঢ্য, তেমনি সাংগঠনিক জীবনও রঙিন অ্যাথলেট নজির আহেমদ মল্লিকের। বাংলাদেশ অ্যাথলেট অ্যসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যসোসিয়েশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।
গেল পাঁচ মেয়াদেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ফেডারেশনে। কিন্তু এবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়নি ফেডারেশন থেকেই। এবার ফেডারেশন থেকে প্রস্তাবিত পাঁচজনের নাম হলো- তোফাজ্জল হোসেন, কিতাব আলী, মো. ইয়াহিয়া, সরাফত এবং মাহবুবা ইকবাল বেলি। যদিও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস জাজেস অ্যাসোসিয়েশন থেকেও কাউন্সিলরশিপ পেয়েছেন বেলি। তবে ক্রীড়া পরিষদের পাঁচ প্রতিনিধি চূড়ান্ত করার ক্ষমতা কেবল চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের। এছাড়া ক্রীড়া পরিষদের কোটা পেতে ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন শামীমা সাত্তার মিমু, ডলি রানী সাহা ও কে এম জাহিদ সারোয়ার। অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলরশিপ নিয়েও। সাবেক অ্যাথলেট খুরশিদা খুশী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমি বাংলাদেশ বেসরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ সমিতি থেকে কাউন্সিলরশিপ এনেছিলাম। কিন্তু আমারটা বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার আখতারুজ্জামান মৃধা পলাশকে কাউন্সিলরশিপ দেয়া হয়েছে।’ নির্বাচন এলেই অসহায় হয়ে পড়েন কৃতি ক্রীড়াবিদরা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ পরিষদের সদস্য না হলে ফেডারেশনে নির্বাচন করা যাবে না- ক্রীড়া পরিষদের এমন আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়েন সব ডিসিপ্লিনের কৃতি ক্রীড়াবিদরাই। কারণ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকেও আসে না তাদের নাম। জেলার সংগঠকরাই ভিড় করেন এসব নির্বাচনে। তাই বাদ পড়েন বর্ষীয়ান ক্রীড়াবিদরা। তাদের জায়গা না হয় জেলাতে, না হয় অন্য কোথাও। আবার ক্রীড়া পরিষদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হয়। কখনো সফল হলেও ব্যর্থ হতে হয় অনেক সময়েই।