× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বকাপে দল পরিচিতি /ট্রফিটা কি এবার ইংল্যান্ডের ঘরে যাচ্ছে?

খেলা

আরিফ বিন আজিজ
২৭ মে ২০১৯, সোমবার

স্বাগতিক দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা ঘটছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষ দুটো আসরে। তাহলে কি এবার ট্রফিটা ইংল্যান্ডের ঘরে যাচ্ছে? সময় হলেই জানা যাবে। তবে ২০১৯ আসরটা কিন্তু ফেবারিট হিসেবেই শুরু করতে যাচ্ছে তিনবারের রানার্সআপরা। ওয়ানডের বর্তমান র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দল ইংল্যান্ড। গত বছর সবচেয়ে বেশি ওডিআই ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও তাদের। আজন্ম আক্ষেপ ঘুচানোর মন্ত্র নিয়ে ৩০শে মে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে এউইন মরগানের দল।
ব্যাটিং শক্তি
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংলাইনআপ খুবই শক্তিশালী আর ভারসাম্যপূর্ণ। ওপেনিংয়ে জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়ের মতো ব্যাটমস্যান রয়েছে। ওয়ানডেতে দুজনের স্ট্রাইকরেটই ১০০-এর উপরে।
বোয়ারস্ট্রো গত বছর তৃতীয় সর্বাধিক ওডিআই রান সংগ্রাহক। ৪ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ২২ ম্যাচে ১০২৫ রান করেন তিনি। সমান সংখ্যক ম্যাচে জেসন রয়ের রান ৮৯৪। ৩ সেঞ্চুরির ও ১ হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এ ডানহাতি। এছাড়া গত বছর প্রায় ৬০ গড়ে রান করেছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জো রুট। ২৩ ম্যাচে জস বাটলারের গড় ছিল ৫১.৬১। আর অধিনায়ক এউইন মরগান প্রায় ৪৩ গড়ে রান করেছিলেন। চলতি বছরও ফর্মটা ধরে রেখেছেন তারা। বেয়ারস্টো, রয়, বাটলার প্রত্যেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরির দেখা পান। ইংল্যান্ডের রয়েছে বেন স্টোকস, মঈন আলী, ক্রিস ওকসের মতো অলরাউন্ডার। তাদের সঙ্গে টম কারেন, লিয়াম ডসন, লিয়াম প্লাঙ্কেটদের অন্তুর্ভুক্তি আরো শক্তিশালী করে তুলেছে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার। আর এজন্যই তারা ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বকাপে ৫০০ রানের রেকর্ড গড়ার। গত বছরই এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান তুলেছিল তারা।  
বোলিং শক্তি
ইংল্যান্ড দলে পেসারের কোনো কমতি নেই। পরিসংখ্যান বিচারে দলের সেরা পেসার ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। গত বছর উভয়েই ১৯ উইকেট নেন। তবে প্লাঙ্কেটের (৬.৩২) চেয়ে ওকসের (৫.১১) ইকোনমি রেট ভালো। এরপর রয়েছেন টম কারেন। ১০ ম্যাচে তার শিকার ১৭ উইকেট। আরেক পেসার মার্ক উড ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। তবে ইংলিশ বোলাদের মধ্যে গত বছর বেশি সফল ছিলেন স্পিনার। লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ২০১৮ সালের সর্বাধিক উইকেট নেয়া বোলারের তালিকায় রশিদ তৃতীয়। ২৪ ম্যাচে নেন ৪২ উইকেট। আর অষ্টম স্থানে থাকা মঈন আলীর শিকার ২৪ ম্যাচে ২৯ উইকেট। দলে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে রয়েছেন লিয়াম ডসন। এখন পর্যন্ত ৩ ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়েছেন ডসন।
নজরে থাকবেন যিনি
জোফরা আর্চার। ২৪ বছর বয়সী ডানহাতি পেস অরাউন্ডার শেষ মুহূর্তে জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে। গত হোম সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকেই ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত আর্চারকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন আর্চার হবেন ইংল্যান্ডের ‘এক্স-ফ্যাক্টর’। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রেকর্ড খুব ভালো। ২৮ ম্যাচে ১৩১ উইকেট আর ৩১.৩৪ ব্যাটিং গড়।
ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা
১৯৯২ সালে রানার্সআপ হওয়ার পর আর কোয়ার্টার ফাইনালের গন্ডিও পেরোতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে সাবেক ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই এবার তাদের সেমিফাইনালে দেখছেন। এমনকি বিরাট কোহলির মত অন্য দলের অধিনায়করাও ইংল্যান্ডকে ‘হট ফেবারিট’ বলছেন। বিশ্বকাপের প্রথম দিকে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে ইংল্যান্ড। ৩০শে মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে মরগানের দল। এই ৫ ম্যাচ থেকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলে নিতে চাইবে তারা। সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ৭ দেখায় ৫ বারই পরাজিত হয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা। এরপর নিউজিল্যান্ড (৮ ম্যাচে ৫ হার) আর পাকিস্তান (৯ ম্যাচে ৪ হার)।
স্কোয়াড: এউইন মরগান (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জেমস ভিন্স, জস বাটলার, জো রুট, মঈন আলী, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, লিয়াম ডসন, মার্ক উড, জোফরা আর্চার, টম কারেন, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট।
কোচ: ট্রেভর বেলিস (অস্ট্রেলিয়া)
সেরা সাফল্য: রানার্সআপ- ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২
ম্যাচসূচি
তারিখ    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু
৩০শে মে    দক্ষিণ আফ্রিকা    ওভাল
৩রা জুন    পাকিস্তান    নটিংহাম
৮ই জুন    বাংলাদেশ    কার্ডিফ
১৪ই জুন    ওয়েস্ট ইন্ডিজ    সাউদাম্পটন
১৮ই জুন    আফগানিস্তান    ম্যানচেস্টার
২১শে জুন    শ্রীলঙ্কা    লিডস
২৫শে জুন    অস্ট্রেলিয়া    লর্ডস
৩০শে জুন    ভারত    বার্মিংহাম
৩রা জুলাই    নিউজিল্যান্ড    চেস্টার-লি-স্ট্রিট
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর