মালির মধ্যাঞ্চলে আদিবাসী গোষ্ঠী ‘ডগন’ অধ্যুষিত এক গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাদের মৃতদেহ। রোববার সাঙ্গা শহরের নিকটবর্তী গ্রাম সোবানে-কৌ’তে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও বিবিসি।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, অন্তত ৯৫ জনকে হত্যার পর তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মৃতদের দেহ উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মালিতে সামপ্রতিক মাসগুলোতে তীব্র আকার ধারণ করেছে বিভিন্ন দলের হামলা। এর মধ্যে কিছু হামলা চালিয়েছে জিহাদিরা আর কিছু হামলা হয়েছে আদিবাসীদের দু’পক্ষের মধ্যে। বিশেষ করে শিকারি গোষ্ঠী ডগন ও যাযাবর পশুপালক গোষ্ঠী ফুলানিদের মধ্যে প্রায়ই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
নিকটবর্তী বাংকাস শহরের মেয়র মৌলায়ে গুয়িন্দো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, রোববার সন্ধ্যার পরপর ফুলানিরা সোবানে কৌ গ্রামে হামলা চালায়।
এদিকে, স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ৯৫ জন বেসামরিকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেরেছি। তবে, আমরা আরো নিহতের জন্য খোঁজ অব্যাহত রেখেছি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিদের উত্থান ঘটে। এরপর থেকে সেখানে এসব আদিবাসী দলগুলোর মধ্যে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অঞ্চলেই চলতি বছরের মার্চ মাসে ডগনদের হামলায় মারা যায় ১৩০ জন ফুলানি। পূর্বে দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হলেও কোনো পক্ষই চুক্তি মেনে চলেনি। জঙ্গিবাদের উত্থানের সঙ্গে ওই অঞ্চলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পায়। এতে করে বাড়ে অস্ত্রের সহজলভ্যতা। আর তার সঙ্গে বাড়ে সহিংসতাও। উভয়পক্ষই অপরপক্ষকে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করে আসছে।