× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ-ভারত নতুন পানিপথে আগ্রহী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ত্রিপুরার গোমতী ও বাংলাদেশের মেঘনা নদীকে সংযুক্ত করে একটি নতুন পানিপথ বাস্তবায়নে খুবই আগ্রহী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এর ফলে ওই রাজ্যের পরিবহন বা পণ্য স্থানান্তরে আমূল পরিবর্তন আসবে। ত্রিপুরার পরিবহন বিভাগের সচিব এল ডারলং বুধবার মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন।

প্রস্তাবিত ওই পানিপথ হবে ১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে তা। মাঠ পর্যায়ে প্রস্তাবিত পানিপথের বাস্তবতা দেখতে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ত্রিপুরার সিপাহিশালা জেলার শ্রীমান্তপুর এলাকা পরিদর্শন করেছে ভারতের শিপিং বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি  টেকনিক্যাল কমিটি। প্রস্তাবিত ওই পানিপথ প্রকল্পে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য শ্রীমান্তপুর স্থল কাস্টমস স্টেশনে একটি জেটি নির্মাণ করতে চায় ত্রিপুরা সরকার।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা বিভাগের এক বৈঠকে বিপ্লব দেবকে এই পানিপথ প্রকল্প বিষয়ে যৌথ টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে। আগরতলায় পরিবহন বিষয়ক সচিব এল ডারলং এ কথা বলেছেন সাংবাদিকদের।
টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পানিপথ কর্মক্ষম করতে হলে ১৩ কিলোমিটারে ড্রেজিং করতে হবে।
১৫ কিলোমিটার এই পানিপথের মধ্যে এই ১৩ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। বাকি অংশ ভারতের ভেতরে। এই পানিপথ কার্যকর হলে এর মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির নৌযান চলাচল করতে পারবে। এল ডারলং বলেছেন, ১২ ও ১৩ই মার্চ হাইড্রোগ্রাফিক অনুসন্ধান চালানো হয়। তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট। তিনি আরো বলেছেন, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ বিষয়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ
দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেছেন, প্রকল্পটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার আহ্বান নিয়ে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল বিষয়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। তার ভাষায়, ত্রিপুরার যেহেতু সীমিত সম্পদ রয়েছে, তাই আমার মতামত হলো, এই ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করতে খরচের যোগান দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

এরই মধ্যে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সরঞ্জাম পরিবহনে আশুগঞ্জ বন্দরটি ব্যবহার করেছে ভারত। পালাটানা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আসছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে থেকেই ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ত্রিপুরায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই বন্দরকে ব্যবহার করে। এখন পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে জাহাজ ও স্টিমার ছেড়ে চলে আসে বাংলাদেশের দাউদকান্দিতে। এই দাউদকান্দি ত্রিপুরার সিপাহিসালা জেলার সাবডিভিশন সোনামুড়া থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর