× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অলিম্পিকের স্বপ্ন পূরণের নতুন প্রত্যাশা রোমানের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ জুন ২০১৯, শনিবার

বিশেষ বিবেচনার ‘ওয়াইল্ড কার্ড’-এর বৃত্ত ভেঙে নিজের যোগ্যতায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে রিও অলিম্পিকে খেলেছিলেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুরের দেখানো পথেই টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন রোমান সানা।  বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে রোমান সানার। স্বপ্ন পূরণ শেষে টোকিও অলিম্পিকে ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাবনাময় এই আরচার।
আগামীকাল বিশ্ব আর্চারিতে ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে নামবেন রোমান সানা। রোমান অবশ্য পদক নিয়ে ভাবছেন না, ‘ সেমিফাইনালে ব্রোঞ্জ জেতা কঠিন হতে পারে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, এতেই আমি খুশি। তাই নির্ভার থাকবো। প্রতিপক্ষ আমার চেয়ে অনেক ভালো। পদক জিততে না পারলে কোনও আফসোস নেই।
আমার আসল লক্ষ্য তো পূরণ হয়েছে। এতেই আমি খুশি।’ নেদারল্যান্ডস থেকে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। স্বপ্ন ছিলো টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার, সেটা পূরণ হয়েছে। এখন টোকিও অলিম্পিকের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেখানে যেন পদক জিততে পারি সেই চেষ্টা করবো। আমার নতুন লক্ষ্য এখন সেটাই। আরও অনেক দূর যেতে চাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে চাই।’ রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হেরে গেলেও রোমানের কোনও আক্ষেপ নেই। কোয়ার্টার ফাইনালে চোখ রেখে টুর্নামেন্টে অংশ নেন তিনি, সেখানে সেমিফাইনালে পৌঁছে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। নিজের কাছেও ছিল সেটা কল্পনাতীত, ‘সেমিফাইনালে যে যাব চিন্তা করিনি। কোয়ার্টার ফাইনালই লক্ষ্য ছিলো। তবে আমি আমার খেলা খেলে গেছি। প্রতিপক্ষ কে সেটা নিয়ে ভাবিনি। জানি সবাই শক্তিশালী। কিন্তু লড়াই করেছি। তাতে ইতিবাচক ফল হয়েছে।’ প্রতিযোগিতার ভেন্যুতে গিয়ে রোমানের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করেছে। বিশেষ করে বৈরী আবহাওয়ায় কতটুকু কী করতে পারবেন সেটা ছিল চিন্তার বিষয়, মাঝেমধ্যে তো আত্মবিশ্বাসও কমে গিয়েছিল। ‘প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে বৃষ্টি, বাতাস ও ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে হয়েছে। তাই আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে যখন খেলেছি তখন কিছুটা নির্ভার ছিলাম। যা হওয়ার হবে, এই মনে করে খেলে গেছি। বিশ্বের সেরা আর্চারদের মুখোমুখি হতে গিয়ে তাই নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’ জার্মানির কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকের সান্নিধ্যে এসে বাংলাদেশের আর্চাররা একটু একটু করে বদলে যেতে শুরু করেছেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্রেডরিক কাজ শুরু করেছেন। তার দ্বিতীয় বছরে বাংলাদেশ পেয়েছে বড় সাফল্য। রোমানের কাছে ফ্রেডরিক লিজেন্ডের মতো, ‘ফ্রেডরিক শুধু কোচ নয়। আমাদের কাছে একজন লিজেন্ড। বড় মাপের কোচ হিসেবে আমাদের বদলে দিয়েছেন তিনি। তার কাছ থেকে আধুনিক দীক্ষা পেয়ে আমরা বদলে যেতে শুরু করেছি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর