লাওসের মাটিতে লাওসকে ১-০ গোলে হারানোর পর ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। দুই পর্ব মিলিয়ে লাওসকে পেছনে ফেলে কাতার বিশ্বকাপের মূল বাছাই পর্বে সুযোগ পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বরাবরের মতো শীর্ষে আছে ভারত। র্যাঙ্কিয়ে ১০১ নম্বারে আছে দেশটি। দু’য়ে মালদ্বীপ। তাদের অবস্থান ১৫১।
চার ধাপ অবনতির পরও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেপালের অবস্থান বাংলাদেশের বেশ উপরে। তাদের অবস্থান ১৬৫তম। ভুটান ১৮৬, শ্রীলঙ্কা ২০১ ও পাকিস্তানের অবস্থান ২০৫ নম্বরে। যথারীতি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে বেলজিয়াম। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অবস্থান দ্বিতীয়। তিনে ব্রাজিল চার নম্বরে রয়েছে ইংল্যান্ড। দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে পর্তুগালের। র্যাঙ্কিংয়ে এখন তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। ছয় নম্বরে ক্রোয়েশিয়া, সাত নম্বরে রয়েছে স্পেন। দুই ধাপ অবনতি হওয়া উরুগুয়ের অবস্থান আট নম্বরে। সুইজারল্যান্ড নয় ও ডেনমার্ক রয়েছে দশ নম্বরে। আর ১১ নম্বরে মেসির আর্জেন্টিনা। ২০১৬ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে ভুটানের কাছে হেরে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ ছিল নির্বাসিত। র্যাঙ্কিংয়েও নিচের দিকে নামতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬ নম্বরে নেমে যায় বাংলাদেশ। পরে মাঠে ফিরলেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে দলকে। র্যাংঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা ৩৪ এ না থাকায় খেলতে হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের প্রাক বাছাই। সেখানেই লাওস বাধা উতরে এশিয়ার শীর্ষ ৪০ দলের একটি হয়ে বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে বাংলাদেশ। এই অজর্নের সঙ্গে র্যঙ্কিংয়েও উন্নতি দেখে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার সাত দলের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে ভারত, মালদ্বীপ ও নেপাল সরাসরি খেলছে মূল বাছাই পর্বে। পাকিস্তান ও ভুটান প্রাক বাছাইয়ের গণ্ডি পেরুতে না পারলেও ম্যাকাও খেলতে না আসায় বাছাইয়ের মূলপর্বে খেলবে শ্রীলঙ্কা।