রাজপরিবারের সন্তানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা নিয়ে কিছুটা প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে। আর তা যদি হয় বৃটিশ রাজপরিবার সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাত্রা একটু বেশিই হবে। হোক তা বাস্তব জগৎ বা ভার্চুয়াল জগৎ। সমপ্রতি এমনটাই দেখা গেছে, প্রিন্স ডায়ানার দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের মধ্যে। বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেটের চেয়ে অনলাইন জগতে অনুসারীর সংখ্যায় পিছিয়ে আছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। কয়েকদিন আগেই বড় ভাই-ভাবির থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের বাড়ি গড়ছেন ক্যামব্রিজের এই ডিউক ও ডাচেস। খবর বেরিয়েছে, অনলাইনে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটকে জনপ্রিয়তার কাতারে পেছনে ফেলতে নতুন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছেন তারা।
রাজপরিবারের কর্মকর্তারা অবশ্য তাদের দুই প্রিন্সের পরিবারের মধ্যে কোনোরকম প্রতিযোগিতার খবরই স্বীকার করতে চান না। তবে দ্য ডেইলি মেইল রাজপরিবারের এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা বাড়াতে নতুন একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছেন তারা।
মেগান তার মাতৃত্বকালীন অবকাশ থেকে ফিরে এলেই ওই বিশেষজ্ঞ তার কাজ শুরু করবেন।
বর্তমানে হ্যারি ও মেগানের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসারী রয়েছে ৮৫ লাখ। গত এপ্রিলে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তারা। উইলিয়াম ও কেটের অ্যাকাউন্টের চেয়ে এ সংখ্যা কেবলমাত্র ৭ লাখ কম। যদিও জ্যেষ্ঠ ওই দমপতি তাদের অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ২০১৫ সালে।
গত মাসে ইন্সটাগ্রামে কেটের করা বাগানের একটি ডিজাইন প্রকাশ করেছিল কেনসিংটন প্যালেস। উদ্দেশ্য ছিল নতুন এই বাগানটির নকশা উদ্যাপন করা। কিন্তু একইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে নিজেদের বিয়ের অপ্রকাশিত ছবি আপলোড করেন হ্যারি ও মেগান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন এই দমপতির উৎসাহ অনেককেই অবাক করেছে। কেননা, প্রিন্স হ্যারি পূর্বে জানিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাদক বা অ্যালকোহলের চেয়েও বেশি আসক্তিকর।